রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে মিয়ানমারকে চাপ দেবে জাতিসংঘ

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। ফাইল ছবি
রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির। ফাইল ছবি

রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ করতে পদক্ষেপ নেবে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। অবশ্য গতকাল সোমবার কূটনৈতিক সূত্রে জানা গেছে, যুক্তরাজ্যের উত্থাপিত এ-সংক্রান্ত একটি খসড়া প্রস্তাবের ওপর আলোচনা বর্জন করেছে চীন ও রাশিয়া।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কূটনীতিক জানান, বাংলাদেশে পালিয়ে আশা সাত লাখ রোহিঙ্গাকে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকারের জবাবদিহি ও একটি নির্দিষ্ট সময় বেঁধে দেওয়ার লক্ষ্যেই এই খসড়া প্রস্তাব তৈরি করা হয়েছে।

২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নতুন করে দমনপীড়ন শুরু হলে জীবন বাঁচাতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয় লাখ লাখ রোহিঙ্গা। জাতিসংঘ, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেকেই একে জাতিগত নিধনযজ্ঞ হিসেবে আখ্যায়িত করে। এই ঘটনাকে জাতিগত নিধনযজ্ঞের ‘পাঠ্যপুস্তকের উদাহরণ’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশন।

খসড়া প্রস্তাবে সতর্ক করা হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের পদক্ষেপে যথেষ্ট অগ্রগতি না থাকলে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ নিষেধাজ্ঞাসহ বিভিন্ন ব্যবস্থা নেবে। এই ইস্যুতে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা নিয়মিত নিরাপত্তা পরিষদের কাছে প্রতিবেদন দেবে—এমন আহ্বান জানানো হয়। তবে খসড়া প্রস্তাবটি কবে ভোটাভুটির জন্য তোলা হবে, তা এখনো পরিষ্কার নয়। ভোটাভুটির জন্য এই প্রস্তাব উত্থাপন করা হলে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে নয়টি ভোট পেতে হবে। পাশাপাশি চীন, রাশিয়াসহ নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্যদেরও ভোট পেতে হবে। স্থায়ী সদস্যদের কেউ ভেটো দিলে প্রস্তাবটি পাস হবে না।

জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার দূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গতকাল রয়টার্সকে বলেন, ‘আমার কাছে এটি যথার্থ ও সময়োচিত মনে হয়নি। নিরর্থক মনে হয়েছে।’

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি জাতিসংঘে নিযুক্ত চীনা দূত মা ঝাওজু। জাতিসংঘে নিযুক্ত মিয়ানমারের প্রতিনিধিও কোনো মন্তব্য করেননি।