ডিপ্লোমা ডিগ্রি পেল কুকুর

ডিগ্রি পাওয়ার পর ব্রিটানি ও গ্রিফিন
ডিগ্রি পাওয়ার পর ব্রিটানি ও গ্রিফিন

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলাইনা অঙ্গরাজ্যের উইলসন শহরের বাসিন্দা ব্রিটানি হলওয়ে (২৫)। গত শনিবার নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ক্লার্কসন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অকুপেশনাল থেরাপির ওপর মাস্টার ডিগ্রি অর্জন করেছেন। একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এদিন সম্মানসূচক ডিপ্লোমা ডিগ্রি অর্জন করেছে তাঁর পরিষেবা কুকুর গ্রিফিন। চার বছর বয়সী গোল্ডেন রেট্রিভার জাতের এই কুকুরের বিরল অর্জনে দারুণ উচ্ছ্বসিত তাঁর মালিক।
কোমরের নিচে তীব্র ব্যথার কারণে হুইলচেয়ার ছাড়া চলাচল করতে পারতেন না ব্রিটানি। ২০১৬ সালে ‘পস ফর প্রিজনস’ নামের একটি প্রকল্পের কাছে একটি পরিষেবা কুকুরের জন্য আবেদন করেন তিনি। প্রকল্পটিতে কারাবন্দী আসামিরা কুকুরকে প্রশিক্ষণ দিতেন। সেখানে মালিক পছন্দের সুযোগ দেওয়া হতো খোদ কুকুরকেই। ব্রিটানি বলেন, অনেক কুকুর তাঁর হুইলচেয়ার দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিল। কিন্তু গ্রিফিন একদম সোজা তাঁর কোলে উঠে গাল চাটতে শুরু করে। সেই থেকে দুজনের একসঙ্গে পথচলা শুরু।
ব্রিটানি বলেন, হয়তো তিনি সেলফোনটা খুঁজে পাচ্ছেন না। গ্রিফিন সঙ্গে সঙ্গেই সেটা খুঁজে এনে দিত হাতে। গ্রিফিন তাঁর জন্য দরজা খোলা, লাইট জ্বালানো সব করত। যে জিনিসটি আনতে হবে, লেজার রশ্মি ফেলে দেখিয়ে দেওয়া মাত্রই হাজির করত গ্রিফিন। ব্রিটানির মতে, গ্রিফিনের সবচেয়ে বড় গুণ, একসময়ের দুশ্চিন্তা ও বিষণ্ন জীবনে নির্ভরতা ও প্রশান্তি এনে দিয়েছে সে।
মাস্টার্সের ক্লাসে ব্রিটানির উপস্থিতি ছিল শতভাগ। সব ক্লাস, এমনকি ইন্টার্নশিপের সময়ও তাঁর সব সময়ের সঙ্গী ছিল গ্রিফিন। কোনো কোনো সময় ক্লাসে যেতে ভালো না লাগলেও গ্রিফিনই তাঁকে ক্লাসে যেতে জোর করত বলে জানান ব্রিটানি। ইন্টার্নশিপের সময় নর্থ ক্যারোলাইনার সামরিক ঘাঁটি ফোর্ট ব্র্যাগে কাজ করেন ব্রিটানি। ব্রিটানি বলেন, ‘সে সময় তাঁর প্রত্যেক রোগী বলতেন, আমার থেরাপিস্ট ব্রিটানি ও গ্রিফিন।’
শনিবার সমাবর্তনে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ গ্রিফিনের কাজকে ‘অসাধারণ’ বলে অভিহিত করে। গত সোমবার ব্রিটানি এক ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘আমি আজ যা অর্জন করেছি, সবটাই গ্রিফিনের সৌজন্যে।’