শুধু মানুষেরটাই দেখলে, ২১ গরুর মৃত্যু দেখলে না!

ভারতে মানুষের চেয়ে গরুর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রয়টার্স ফাইল ছবি
ভারতে মানুষের চেয়ে গরুর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। রয়টার্স ফাইল ছবি

মানুষের জীবনের মূল্য বেশি নাকি গরুর—এ নিয়ে ভারতে, বিশেষ করে উত্তর প্রদেশ রাজ্যে তুমুল বিতর্ক চলে আসছে। এই বিতর্কে এবার ঘি ঢেলে দিয়েছেন বিজেপির এক আইনপ্রণেতা।

চলতি মাসের শুরুর দিকে উত্তর প্রদেশের বুলান্দশার জেলায় কথিত গো-হত্যা নিয়ে সহিংসতা হয়। এতে পুলিশসহ দুজন নিহত হন। এ ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা রয়েছে।

বুলান্দশার সহিংসতায় হতাহতের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ‘নিষ্ক্রিয়’ ভূমিকার সমালোচনা করে তাঁর পদত্যাগ দাবি করেন ৮৩ জন সাবেক আমলা। এই দাবি নিয়ে তাঁরা একটি খোলা চিঠি লেখেন।

৮৩ জন সাবেক আমলার খোলা চিঠি লেখার এক দিনের মাথায় পাল্টা জবাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়লেন বিজেপির রাজনীতিবিদ সঞ্জয় শর্মা। এই এমএলএ বলেন, আপনারা শুধু সুমিত (বিক্ষোভকারী) ও এক পুলিশ কর্তার (সুবোধ কুমার সিং) মৃত্যুই দেখলেন, ২১টি গরুর মৃত্যু দেখলেন না।’

সঞ্জয় শর্মা বলেন, ‘দয়া করে এটা বুঝুন, যেসব মানুষ গো–হত্যা করেছে, তারাই আসল অপরাধী। ক্ষুব্ধ জনতা যা কিছু করেছে, তার মূলে রয়েছে গো-মাতার হত্যা।’

মানুষের চেয়ে গরুর প্রতি বেশি গুরুত্ব দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে। বুলান্দশার সহিংসতা নিয়ে সঞ্জয় শর্মা যে মন্তব্য করলেন, তাতে যোগী সরকারের বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ আরও জোরালো হলো।

৩ ডিসেম্বর বুলান্দশার জেলায় সহিংসতায় ঘটনা ঘটে। একটি ইসলামিক অনুষ্ঠানের ভেন্যুর কাছে জবাই করা একাধিক গরু পাওয়ার দাবি করেন একদল কট্টর হিন্দু কর্মী। এ নিয়ে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। সহিংসতায় পুলিশের এক কর্তাসহ দুজন নিহত হন।

গরু নিয়ে সহিংসতায় মানুষের প্রাণহানির ঘটনায় কোনো ধরনের মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী। উল্টো তিনি গরু হত্যা নিয়ে তদন্তের ঘোষণা দেন।