রাজ কাপুর-দিলীপ কুমারের বাড়ি কিনবে পাকিস্তান!

রাজ কাপুরের পূর্বপুরুষের তৈরি এই বাড়ি স্থানীয়ভাবে ‘কাপুর হাভেলি’ নামে পরিচিত। স্থানীয় কিসসা খাওয়ানি বাজারে এর অবস্থান। ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া
রাজ কাপুরের পূর্বপুরুষের তৈরি এই বাড়ি স্থানীয়ভাবে ‘কাপুর হাভেলি’ নামে পরিচিত। স্থানীয় কিসসা খাওয়ানি বাজারে এর অবস্থান। ছবিটি ফেসবুক থেকে নেওয়া

বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমার। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের আগে আজকের পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশে থাকতেন রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের পূর্বপুরুষেরা। তাঁদের ব্যবহৃত বাড়ি এবার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তানের ওই প্রদেশের প্রাদেশিক সরকার।

প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়ার (পিটিআই) খবরে বলা হয়েছে, দেশভাগের আগে তৈরি হওয়া ২৫টা ভবন কেনার পরিকল্পনা নিয়েছে খাইবার পাখতুনখাওয়ার প্রাদেশিক সরকার। ওই সরকার মোট ৭৭টি ভবনকে সেখানকার জাতীয় ঐতিহ্যের তালিকাভুক্ত করেছে। এর মধ্যে ৫২টি ভবন সরকারের মালিকানায় আছে। বাকি ২৫টি আছে স্থানীয় কিছু অধিবাসীর মালিকানায়। এই ২৫টি ভবন এবার কেনার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাদেশিক সরকার। ২৫টি ভবনের মধ্যেই রয়েছে রাজ কাপুর ও দিলীপ কুমারের পূর্বপুরুষের বাড়ি।

রাজ কাপুরের পূর্বপুরুষের তৈরি বাড়িটি স্থানীয়ভাবে ‘কাপুর হাভেলি’ নামে পরিচিত। স্থানীয় কিসসা খাওয়ানি বাজারে এর অবস্থান। দেশভাগের আগেই ভবনটি তৈরি করা হয়েছিল। বলা হয়ে থাকে, ১৯১৮ থেকে ১৯২২ সালের মধ্যে রাজ কাপুরের দাদা দেওয়ান বশেশ্বরনাথ কাপুর বাড়িটি নির্মাণ করেছিলেন। এই বাড়িতেই জন্ম হয় রাজ কাপুরের।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, দিলীপ কুমারের পূর্বপুরুষের বাড়িটিও পেশোয়ারের কিসসা খাওয়ানি বাজারে অবস্থিত। এই বাড়িটি ১০০ বছরের বেশি সময় আগে নির্মাণ করা হয়েছিল। নওয়াজ শরিফের সরকারের আমলে করা একটি আইনের আওতায় বাড়িটিকে জাতীয় ঐতিহ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের মালিকানায় থাকা ২৫টি পুরোনো বাড়ি কিনতে খাইবার-পাখতুনখাওয়া প্রদেশের সরকার মোট ৬১ কোটি রুপি বরাদ্দ করেছে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, কিছু আনুষ্ঠানিকতার পরই বাড়িগুলো কেনার প্রক্রিয়া শুরু হবে।