কাবুলে গুলি ও আত্মঘাতী হামলায় নিহত ৪৩
আফগানিস্তানে সরকারি ভবনে নিরাপত্তা রক্ষীদের সঙ্গে হামলাকারীদের গোলাগুলি ও আত্মঘাতী হামলায় কমপক্ষে ৪৩ জন নিহত হয়েছে। নিহত ব্যক্তিদের বেশির ভাগই সরকারি কর্মচারী। আহত হয়েছেন ২০ জনেরও বেশি। গতকাল সোমবার বিকেলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নাজিব দানিশ জানিয়েছেন, নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য ও তিনজন হামলাকারী রয়েছেন। আফগান নিরাপত্তা রক্ষীদের গুলিতে তিন হামলাকারী নিহত হন। গতকাল রাতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকধারীদের সাত ঘণ্টার বন্দুকযুদ্ধ শেষ হয়।
খবরে বলা হয়, দেশটির গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বাইরে একটি গাড়িতে একজন আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আত্মহত্যা করার পরপর হামলা শুরু হয়। জঙ্গিরা প্রতিবন্ধী ও শহীদ পরিবারবিষয়ক জাতীয় কর্তৃপক্ষ ভবনের ভেতরে ঢুকে পড়ে। সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আফগান সেনাদের বিরুদ্ধে বন্দুকযুদ্ধ শুরু করে।
আফগান নিরাপত্তা বাহিনীর একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, নিরাপত্তা বাহিনী ভবনের বিভিন্ন তলায় গিয়ে ভেতরে আটকে পড়া সাড়ে তিন শ মানুষকে উদ্ধার করে। তবে ওই সরকারি কর্মচারীদের হামলাকারীরা জিম্মি করে রাখেন বলে অভিযান বাধাগ্রস্ত হয়।
এখনো পর্যন্ত কোনো জঙ্গি গোষ্ঠী এ হামলার দায় স্বীকার করেনি।
ঘটনাস্থলের কাছাকাছি বসবাসকারী একজন প্রত্যক্ষদর্শী রয়টার্সকে জানান, কমপক্ষে ২০ জন আহত ব্যক্তিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।
পাশের আরেক সরকারি ভবনে কর্মরত একজন জানান, বিস্ফোরণ ও বন্দুকযুদ্ধের সময় কর্মচারীরা কক্ষের ভেতরে ঢুকে তা তালাবদ্ধ করে রাখেন।
বন্দুকযুদ্ধের সময় ভবনের তৃতীয় তলায় আগুন লেগে যায়।
আফগানিস্তানে সরকারি কর্মচারীদের ওপর এ ধরনের হামলা চলছেই। সাধারণত তালেবানরা এ হামলা চালায়। পশ্চিমা দেশ–সমর্থিত সরকার হটিয়ে তারা কট্টর শরিয়া আইন বলবৎ করতে চায়। তালেবানদের সঙ্গে ১৭ বছর ধরে চলা এ যুদ্ধ কয়েক মাস ধরে তীব্র হয়েছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানে মোতায়েন ১৪ হাজার মার্কিন সেনার প্রায় অর্ধেক প্রত্যাহার করে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ সিদ্ধান্ত যুদ্ধবিধ্বস্ত আফগানিস্তানে আরও অনিশ্চয়তা বয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।