মিসরে পুলিশের অভিযানে '৪০ জঙ্গি' নিহত

মিসরে পর্যটক বাসে হামলার জবাবে ‘৪০ জন জঙ্গিকে’ হত্যার কথা জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গিজায় একটি পর্যটকবাহী বাসের ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: রয়টার্স
মিসরে পর্যটক বাসে হামলার জবাবে ‘৪০ জন জঙ্গিকে’ হত্যার কথা জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। গতকাল শুক্রবার গিজায় একটি পর্যটকবাহী বাসের ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। ছবি: রয়টার্স

মিসরে পর্যটক বাসে হামলার জবাবে ‘৪০ জন জঙ্গিকে’ হত্যার কথা জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, আজ শনিবার সকালে গিজা ও উত্তর সিনাই এলাকায় অভিযান চালিয়ে এই সন্ত্রাসীদের হত্যা করেছে পুলিশ।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে জঙ্গিদের লুকিয়ে থাকার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। সেসব জায়গাতেই অভিযান চালায় পুলিশ। বলা হচ্ছে, এই সন্ত্রাসীরা বেশ কিছু পর্যটন এলাকা, চার্চ ও সামরিক বাহিনীর পদস্থ ব্যক্তিদের ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিল।

গতকাল শুক্রবার গিজায় একটি পর্যটকবাহী বাসের ওপর বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। এতে তিন ভিয়েতনামি পর্যটক ও স্থানীয় এক গাইড নিহত হয়েছেন। আহত হন ১২ জন। তবে এ হামলার দায় স্বীকার করেনি কোনো সন্ত্রাসী গোষ্ঠী। বাসটিতে মিসরীয় চালক ছাড়াও ১৪ জন ভিয়েতনামি পর্যটক ছিলেন।

বিবিসি বলছে, শনিবার সকালে গিজায় চালানো দুটি পৃথক অভিযানে ৩০ জঙ্গি নিহত হয়। বাকি ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে উত্তর সিনাইয়ের রাজধানী এল-আরিশে। বিবৃতিতে মিসরের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কিছু অর্থনৈতিক কেন্দ্রে হামলা চালানোর পরিকল্পনাও করছিল সন্ত্রাসীরা। যেসব স্থানে অভিযান চালানো হয়েছে, সেখান থেকে বোমা বানানোর বিভিন্ন উপকরণ ও নানা ধরনের অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।

মিসরে অর্থনীতির একটি বড় খাত পর্যটনশিল্প। ২০১০ সালে দেশটিতে ১ কোটি ৪০ লাখ পর্যটক বেড়াতে এসেছিলেন। কিন্তু এর পরের বছরে আরব বসন্তের কারণে পর্যটকের সংখ্যা ব্যাপকভাবে কমতে থাকে। ২০১৫ সালে জঙ্গিরা মিসরের অবকাশযাপন কেন্দ্র শারম আল শেখে রুশ যাত্রীবাহী একটি বিমানকে গুলি করে ভূপাতিত করলে পরের বছর পর্যটকের সংখ্যা অনেক কমে আসে। সাম্প্রতিক হামলার ঘটনায় এরই মধ্যে পুরো মিসরে নিরাপত্তাব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।