উ. কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ইতালিতে 'উধাও'!

ইতালিতে থাকা দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দূতাবাসটি জাতিসংঘের রোমভিত্তিক ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে। ছবিটি গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া
ইতালিতে থাকা দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই দূতাবাসটি জাতিসংঘের রোমভিত্তিক ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে। ছবিটি গুগল ম্যাপ থেকে নেওয়া

ইতালিতে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত ‘উধাও’ হয়ে গেছেন বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা। এদিকে জানা গেছে, ইতালিতে নিযুক্ত পিয়ংইয়ংয়ের শীর্ষ কূটনীতিক নাকি একটি পশ্চিমা দেশের আশ্রয়ে রয়েছেন। তবে এই খবর নিরপেক্ষ সূত্র থেকে যাচাই করা সম্ভব হয়নি। উত্তর কোরিয়াও এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেনি।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, উধাও হয়ে যাওয়া কূটনীতিকের নাম জো সং-গিল। উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হিসেবে তিনি ইতালিতে নিযুক্ত আছেন। পিয়ংইয়ংয়ের অত্যন্ত উচ্চপদের একজন কর্মকর্তার ছেলে জো সং-গিল। এর আগে ২০১৬ সালে লন্ডনে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক নিজের পদ ছেড়ে দিয়েছিলেন। এরপর ওই কূটনীতিক দক্ষিণ কোরিয়ার পক্ষ নেন। এবারও একই ঘটনা ঘটেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, রাষ্ট্রীয় উঁচু পদে থাকা কর্মকর্তারা পক্ষত্যাগের অর্থ হলো, তাঁরা কিম জং-উনের শাসনের প্রতিবাদ করছেন। এ ছাড়া পক্ষত্যাগকারী কূটনীতিকের অন্যান্য দেশের কাছে উত্তর কোরিয়ার স্পর্শকাতর তথ্য সরবরাহ করার সম্ভাবনাও থাকে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সরকারদলীয় সাংসদ কিম মিন-কি আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, মেয়াদ শেষের আগেই দূতাবাস থেকে পালিয়ে গেছেন জো সং-গিল। গত নভেম্বরের শেষের দিকে তাঁর মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। নভেম্বরের শুরুতেই পালিয়ে যান তিনি।

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার একটি সূত্র জানিয়েছে, এখনো পর্যন্ত জো সং-গিলের সঙ্গে কোনো ধরনের যোগাযোগ করা যায়নি। অন্যদিকে ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানকার সরকারের কাছে রাজনৈতিক আশ্রয়ের কোনো আবেদন করেননি জো। তাই ধারণা করা হচ্ছে, অন্য কোনো দেশের আশ্রয়ে আছেন জো সং-গিল। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার কূটনৈতিক সূত্রের বরাত দিয়ে স্থানীয় কিছু পত্রপত্রিকা জানিয়েছে, পরিবারের সদস্যদের নিয়ে নিরাপদেই আছেন জো।

৪৮ বছর বয়সী জো সং-গিল ২০১৭ সালের অক্টোবর মাস থেকে রোমে ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের ভূমিকায় কাজ শুরু করেন। তাঁর পরিবার উত্তর কোরিয়ায় বেশ প্রভাবশালী বলে জানা গেছে। ইতালিতে থাকা দূতাবাস উত্তর কোরিয়ার জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, এই দূতাবাসটি জাতিসংঘের রোমভিত্তিক ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের সঙ্গে সম্পর্ক রক্ষা করে। ফলে দেশটির জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা পাওয়া সম্ভব হয়।