নিউজিল্যান্ডে চিকিৎসক ধর্মঘটে হাসপাতাল অচল

নিউজিল্যান্ডে কাজের পরিবেশ ও বেতনের দাবিতে সরকারের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় ৮০ শতাংশ জুনিয়র চিকিৎসক ধর্মঘট শুরু করেছেন। আজ মঙ্গলবার অধিকাংশ চিকিৎসক সরকারি হাসপাতালের দায়িত্ব পালন না করে বের হয়ে গেছেন। এ কারণে হাসপাতালের কার্যক্রম অচল হয়ে পড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০১৭ সালে দায়িত্ব নেওয়া দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেনের জন্য সামাজিক সেবা খাতে প্রতিশ্রুতি রক্ষার বিষয়টি এখন বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সরকার এখন দেশটির চিকিৎসকদের ইউনিয়ন বা সংগঠন নিউজিল্যান্ড রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশনের (এনজেডআরডিএ) সঙ্গে আলোচনা করছে। ওই আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পরই চিকিৎসকেরা ধর্মঘটে চলে যান।

মূলত, সরকারের সমর্থনে থাকা বামঘেঁষা ইউনিয়ন বলছে, বেতন কম বাড়ানো ও জীবনযাত্রার খরচ বাড়ার কারণে শ্রমিকদের কষ্ট করতে হচ্ছে। গত বছরে শিক্ষক, নার্স, আদালতের কর্মীরা বেতন বাড়ানোর দাবিতে বিক্ষোভ করেছিলেন।

ইউনিয়ন ন্যাশনাল সেক্রেটারি ডেবরাহ পাওয়েল বলেন, ‘আমরা কখন কাজ করব, কীভাবে করব, কোথায় করব—সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ করতে চায় তারা। ধর্মঘট ছাড়াই সমস্যা সমাধানে বসেছিলাম, কিন্তু তারা কোনো পথ খোলা রাখেনি।’

প্রায় ৩ হাজার ৩০০ সরকারি জুনিয়র চিকিৎসক ধর্মঘটে গেছেন। দেশটিতে ৩ হাজার ৭০০ জাতীয় তালিকাভুক্ত জুনিয়র চিকিৎসক রয়েছেন।

কয়েকজন চিকিৎসক প্ল্যাকার্ড হাতে উন্নত কাজের পরিবেশের জন্য দাবি করলেও বড় ধরনের কোনো মিছিল করেননি।

ধর্মঘট ডাকায় অনেক সার্জারি ও চিকিৎসাসেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। অবশ্য জ্যেষ্ঠ চিকিৎসকদের দিয়ে কোনোমতে জরুরি চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সরকারের পক্ষ থেকে জরুরি না হলে হাসপাতালে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

জুনিয়ার চিকিৎসক বা এরএমওদের ক্ষেত্রে সরকারের নতুন চুক্তিতে দীর্ঘ সময় কাজ করতে হবে এবং কোনো রকম নোটিশ ছাড়াই অন্য হাসপাতালে বদলি করা যাবে। নিউজিল্যান্ড রেসিডেন্ট ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন (এনজেডআরডিএ) নামের সংগঠনটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তারা ডিস্ট্রিক্ট হেলথ বোর্ডের সঙ্গে এক বছরের বেশি সময় ধরে কথা বলছে। তাতে নতুন চুক্তিতে ওভারটাইম, রাতের ডিউটিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এখন সরকারের ওপর চাপ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সংগঠনটি।