শান্তিরক্ষা তহবিলে সদস্যদের ঋণ ২০০ কোটি ডলার

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা তহবিলে সদস্যদেশগুলোর ঋণ প্রায় ২০০ কোটি ডলার। ছবি: রয়টার্স
জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা তহবিলে সদস্যদেশগুলোর ঋণ প্রায় ২০০ কোটি ডলার। ছবি: রয়টার্স

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা তহবিলে সদস্যদেশগুলোর প্রায় ২০০ কোটি ডলার ঋণ রয়েছে। এই ঋণের এক-তৃতীয়াংশেরই দায় যুক্তরাষ্ট্রের বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

১১ জানুয়ারি ১৯৩ সদস্যদেশকে লেখা এক চিঠিতে গুতেরেস সতর্ক করেন, দেরিতে ঋণ পরিশোধ ও বকেয়ার কারণে সক্রিয় শান্তিরক্ষা মিশন শিগগিরই তারল্য–সংকটের সম্মুখীন হতে পারে। বকেয়া এখন প্রায় ২০০ কোটি ডলার এবং এটা বেড়েই যাচ্ছে। বর্তমান নগদ দিয়ে দুই মাস কাজ চালানো সম্ভব। আগের বছর যা চার মাস করা সম্ভব হয়েছিল।

জাতিসংঘের কর্মকর্তারা জানান, জাতিসংঘের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের মোট বাজেটের ২২ শতাংশ ও ৬৭০ কোটি ডলারের শান্তিরক্ষা তহবিলের ২৮ শতাংশ তহবিল সরবরাহকারী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। পয়লা জানুয়ারি নিয়মিত বাজেট পরিশোধের ৩৮ কোটি ১০ লাখ ডলার দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া শান্তিরক্ষা তহবিলের ৭৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারও পরিশোধ করেনি দেশটি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মনে করেন, জাতিসংঘের বাজেট ব্যয়ের একটি অন্যায্য বোঝা নিজের কাঁধে তুলে নিয়ে নিয়েছে ওয়াশিংটন। গত ডিসেম্বরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের বৈঠকে বাজেট ও শান্তিরক্ষা তহবিলে আগামী তিন বছর কোন দেশ কত শতাংশ দেবে, তা নির্ধারণ করা হয়। ওই সভায় নিয়মিত বাজেটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ২২ শতাংশে সীমিত করা হয়। ওয়াশিংটন চায় শান্তিরক্ষা তহবিলে যুক্তরাষ্ট্রের অবদান ২৮ শতাংশের পরিবর্তে ২৫ শতাংশে আনতে, তবে তা হয়নি।

এ বিষয়ে জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত সৈয়দ আকবর উদ্দিন বলেছেন, ২০০ ডলার ঘাটতি স্থায়ী হবে না। গত বুধবার এক টুইটে তিনি বলেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া অনেক দেশ ১০০ বছরে তাদের বার্ষিক অবদান বিবেচনা করে ঋণ নিয়েছে। কোনো কোনো দেশ আরও বেশি বছর মূল্যায়ন করেছে।

জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নেওয়া দেশগুলো হলো ইথিওপিয়া, ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল ও রুয়ান্ডা। তারা তাদের সেনাদের বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের আওতায় পরিশোধ করে। ওই অর্থ জাতিসংঘ আবার ফেরত দিয়ে দেয়। ২০১৮ সালের জুলাই পর্যন্ত প্রতি সৈন্যের জন্য জাতিসংঘের মাসিক ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৪২৮ ডলার। জাতিসংঘ বলেছে, তার শান্তিরক্ষা অভিযানের মোট ব্যয়ের ১ শতাংশেরও কম ব্যয় হলো সামরিক ব্যয়।