উ. কোরিয়ায় আরও গোপন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি

উত্তর কোরিয়ার আরেকটি গোপন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি আবিষ্কার করেছেন গবেষকেরা। ২০টি ঘাঁটির এটি একটি বলে মনে করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স
উত্তর কোরিয়ার আরেকটি গোপন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি আবিষ্কার করেছেন গবেষকেরা। ২০টি ঘাঁটির এটি একটি বলে মনে করা হচ্ছে। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার আরেকটি গোপন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি আবিষ্কার করেছেন গবেষকেরা। কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির অঘোষিত ২০টি ঘাঁটির এটি একটি বলে মনে করা হচ্ছে। ওয়াশিংটনভিত্তিক গবেষণাধর্মী প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজের (সিএসআইএস) গতকাল সোমবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে সিনো-রি নামের ওই ঘাঁটির কথা বলা হয়েছে। রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব কথা উল্লেখ করা হয়।

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে আগামী ফেব্রুয়ারির শেষে আরেকটি বৈঠকের ব্যাপারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আগ্রহ প্রকাশের তিন দিন পরই পিয়ংইয়ংয়ের অঘোষিত ক্ষেপণাস্ত্রের দপ্তরটি আবিষ্কার হলো।

প্রতিবেদন অনুসারে, সিনো-রি ঘাঁটিটি উত্তর ও দক্ষিণ কোরিয়াকে বিভাজনকারী অসামরিক অঞ্চল থেকে ১৩২ মাইল উত্তরে অবস্থিত। ঘাঁটিটি সাত বর্গমাইল এলাকাজুড়ে। পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে ঘাঁটিটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। ঘাঁটিটি থেকে দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত মূল ঘাঁটি গুয়ামেও আঘাত হানা সম্ভব।

গত বছরের জুনে ট্রাম্পের সঙ্গে প্রথম শীর্ষ বৈঠকের পর পরমাণু নিরস্ত্রীকরণে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছিলেন কিম।

সিএসআইএসের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, সিনো-রি ঘাঁটির কথা উত্তর কোরিয়া কখনো প্রকাশ করেনি। ফলে নিরস্ত্রীকরণ আলোচনায় কখনো স্থান পায়নি এর কথা।

গবেষণা প্রতিবেদনটির সহযোগী লেখক গবেষক ভিক্টর চা বলেন, উত্তর কোরিয়া যেসব প্রকাশ করেনি তা নিয়ে তারা আলোচনা করবে না।...মনে হচ্ছে তারা ছেলেখেলা করছে। উত্তর কোরিয়া যদি তাদের প্রকাশিত পরমাণু ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটিগুলো ধ্বংসও করে, তবুও তাদের পরমাণু কার্যক্রমে থাকার সক্ষমতা থাকবে।