মিয়ানমারের পার্লামেন্টের ওপর ড্রোন, ফরাসি গ্রেপ্তার

মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: এএফপি
মিয়ানমারের পার্লামেন্ট ভবন। ছবি: এএফপি

মিয়ানমারের রাজধানী নেপিডোতে পার্লামেন্ট ভবনের ওপরে ড্রোন ওড়ানোর অভিযোগে এক ফরাসি পর্যটককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ সোমবার স্থানীয় পুলিশ ও মিয়ানমারে ফরাসি দূতাবাসের পক্ষ থেকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করা হয়। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। দোষী সাব্যস্ত হলে ওই ব্যক্তির তিন বছরের কারাদণ্ড পর্যন্ত হতে পারে।

পুলিশ জানায়, ওই ব্যক্তির নাম আর্থার দেসক্লু (২৭)। তিনি সরকারি ভবনের ওপর দিয়ে ড্রোন চালানোর চেষ্টা করছিলেন, যা মিয়ানমারের আইনে অবৈধ। একই ধরনের অভিযোগে ২০১৭ সালে তিন পর্যটক ও তাঁদের গাড়িচালককে কারাদণ্ড দেন মিয়ানমারের আদালত।

স্থানীয় গণমাধ্যমে ওই ব্যক্তির ছবিসহ বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হয়। তাঁর ড্রোনের ছবিও ছাপা হয়েছে।

দূতাবাসের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ৭ ফেব্রুয়ারি বিকেলে পার্লামেন্ট ভবনের ওপর দিয়ে ড্রোন ওড়ানোর অভিযোগে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এখনো আটক রয়েছেন। তাঁর পরিবারকে এ বিষয়ে জানানো হয়েছে। দূতাবাসের পক্ষ থেকে তাঁর মুক্তির বিষয়ে সর্বাত্মক চেষ্টা চালানো হচ্ছে।

পুলিশ কর্মকর্তা মিন টিন এএফপিকে জানায়, আমদানি ও রপ্তানি আইনের অধীনে ৮ নম্বর ধারায় দেসক্লুর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তাঁর তিন বছরের কারাদণ্ডাদেশ হতে পারে। তাঁর ড্রোন চালানোর কারণ এখনো জানা যায়নি।

২০১৭ সালে সিঙ্গাপুরের সাংবাদিক লাও হন মেং ও মালয়েশিয়ার সাংবাদিক মক চই লিন একই ধরনের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে কারাদণ্ডাদেশ পান। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচার টিভি টিআরটির একটি তথ্যচিত্রের জন্য তাঁরা মিয়ানমারের পার্লামেন্টের কাছে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করেছিলেন। পরে তাঁদের সঙ্গে মিয়ানমারের সাংবাদিক অং নাইং সু ও চালক হলা টিনকেও আটক করা হয়। দেশটির সেনা প্রভাবিত এয়ারক্রাফট আইনের আওতায় তাঁদের দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে বিশ্বজুড়ে কঠোর সমালোচনার মুখে তাঁদের মুক্তি দেওয়া হয়।