সৌদি যুবরাজের ঘনিষ্ঠ সহকারী তুরকি এখন রাষ্ট্রদূত

সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: এএফপি
সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। ছবি: এএফপি

সৌদি সরকারের পরিচালিত আল অ্যারাবিয়া টেলিভিশনের সাবেক প্রধান তুরকি আলদাখেইল সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত হিসেবে শপথ নিয়েছেন। ব্লুমবার্গের খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

সৌদি আরবের সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার এক বছর আগে ২০১৭ সালে দেশটির যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান তুরকিকে বলেছিলেন, খাসোগি যদি দেশে ফিরে না আসেন, তবে সরকারের সমালোচনা বন্ধের জন্য তিনি ‘একটি বুলেট’ ব্যবহার করবেন। যুক্তরাষ্ট্রের পত্রিকা নিউইয়র্ক টাইমসের খবরে গত বৃহস্পতিবার এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই খবর প্রকাশের গতকাল রোববার তুরকি নতুন পদে নিয়োগ পেলেন।

তুরকি আগে আল অ্যারাবিয়া টেলিভিশনের মহাব্যবস্থাপক ছিলেন। রাষ্ট্র পরিচালিত বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, বাদশাহ সালমান অন্য নতুন রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে তুরকিকেও শপথবাক্য পাঠ করান।

সাংবাদিক খাসোগি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করতেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের গণমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের কলাম লেখক এবং সৌদি আরবের শাসকদের সমালোচক ছিলেন। বিয়ের নথি সংগ্রহ করতে গিয়ে গত বছরের ২ অক্টোবর তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যাকাণ্ডের শিকার হন তিনি। এই হত্যাকাণ্ডের পর আন্তর্জাতিক মহলে এ নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে সৌদি আরব এই হত্যার কথা অস্বীকার করে। তবে পরে দেশটি স্বীকার করেছিল, খাসোগিকে কনস্যুলেটের ভেতরে হত্যা করা হয়েছে।

নিউইয়র্ক টাইমস যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান এবং সাবেক পররাষ্ট্র কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে জামাল খাসোগিকে হত্যায় যুবরাজের ‘বুলেট’ ব্যবহার করার ইচ্ছে পোষণের খবর প্রকাশ করেছে। কর্মকর্তারা এই গোয়েন্দা প্রতিবেদন সম্পর্কে জানতেন। তবে তুরকি পত্রিকাটিতে এক বিবৃতি পাঠিয়ে এ অভিযোগ অস্বীকার করেন।

হত্যাকাণ্ডের পর শুরু থেকেই তুরস্ক বলে আসছে, এই হত্যাকাণ্ড পরিকল্পিত। খাসোগিকে হত্যার জন্য সৌদি থেকে ১৫ জনের একটি দল তুরস্কে গিয়েছিল।

এ ছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ তার প্রতিবেদনে বলেছে, খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দিয়েছিলেন সৌদি যুবরাজ সালমান; যদিও এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে সৌদি আরব।

যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থার বিশ্লেষকেরা যুবরাজের ওই ‘বুলেটের’ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, যুবরাজ সালমান খাসোগিকে গুলি করবেন, এটা বলেননি। তবে খাসোগি সৌদি আরবে না ফিরলে তাঁকে হত্যা করার প্রয়াস ছিল যুবরাজ সালমানের।