আলোচনায় ম্যার্কেলের বন্ধ ফেসবুক পেজ

আঙ্গেলা ম্যার্কেল
আঙ্গেলা ম্যার্কেল

ফেসবুক পেজ বন্ধ করে দেওয়ায় জার্মানিতে চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেলকে নিয়ে নানা রকম আলোচনা চলছে। গত ১ ফেব্রুয়ারি ম্যার্কেল তাঁর ফেসবুক পেজ নিজে ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিলেন। ওই দিন একটি ভিডিও বার্তায় তাঁর ২৫ লাখ ফেসবুক অনুসারীকে জানিয়ে দেন, তিনি তাঁর এই ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজটি বন্ধ করে দিচ্ছেন। কারণ হিসেবে বলেন, তিনি এখন আর ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক দলের সভানেত্রীর পদে বহাল নেই, সেই কারণে এই সিদ্ধান্ত।

তবে তিনি তাঁর অনুসারীদের ওই ভিডিও বার্তায় বলেন, ফেসবুকে জার্মানির চ্যান্সেলর পেজে তাঁর কাজকর্ম অনুসরণ করা যাবে। চ্যান্সেলরের ওই ঘোষণার পরপরই ফেসবুক পেজে তাঁর প্রোফাইল অদৃশ্য করা হয়।

ফেসবুকের পেজে থাকা না-থাকা যদিও ব্যক্তিগত বিষয়, তবুও ফেসবুক থেকে ম্যার্কেলের প্রস্থানের পর থেকেই বিষয়টি নিয়ে বিতর্ক চলছে। জার্মানির ‘ডের স্পিগেল’ পত্রিকার এক গবেষণামূলক বিশ্লেষণে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে।

জার্মানির দলিল দস্তাবেজ-বিষয়ক মহাফেজখানার একজন আইন বিশেষজ্ঞ এরিখ স্টাইনহাওয়ার জানিয়েছেন, ‘ম্যার্কেলের মতো রাজনীতিকের শুধু ২৫ লাখ অনুসারীই নয়, এর বাইরে যাঁরা সামাজিক মাধ্যমে তাঁর বিষয়ে বিভিন্ন তথ্যের জন্য খোঁজখবর নিতে চান, তাঁরা এখন বঞ্চিত হচ্ছেন। এখনকার রাজনীতিবিদেরা সব সময় ফেসবুক, টুইটার বা ইনস্টাগ্রামে তাঁদের মতামত ও রাজনীতি নিয়ে লিখে থাকেন, যেখান থেকে সর্বসাধারণ জানতে পারি কখন কী ঘটছে।’ তিনি মত দেন, আঙ্গেলা ম্যার্কেল ফেসবুকে না থাকলেও তাঁর পাতাটি দৃশ্যমান রাখা উচিত।

জার্মানির ইতিহাস সমিতির সভাপতি ইভা স্লট হয়েবার বলেছেন, এই ডিজিটাল যুগে নতুন প্রজন্মের সমসাময়িক ইতিহাস ও মতামত জানতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের ওপর নির্ভরতা বেড়েছে। সে কারণে তিনিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ম্যার্কেলের উপস্থিতির কথা বলছেন।

‘ডের স্পিগেল’ পত্রিকার তথ্য অনুযায়ী বার্লিনে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অ্যাডমিনিস্ট্রেটরেরা জানিয়েছেন, ফেসবুকে আঙ্গেলা ম্যার্কেলের প্রোফাইল পুরোপুরি মুছে ফেলা হয়নি। ম্যার্কেলের প্রোফাইলটি শুধু অদৃশ্যমান করে রাখা হয়েছে।

গত বছরের ডিসেম্বর মাসে দলীয় সম্মেলনে ম্যার্কেল সভানেত্রী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। তাই তিনি এখন আর ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক দলের সভানেত্রীর পদে বহাল নেই। তবে কোনো অঘটন না ঘটলে তিনি ২০২১ সাল পর্যন্ত জার্মানির চ্যান্সেলর পদে বহাল থাকবেন।