ছেলেসন্তান জন্ম দিয়েছেন আইএসে যাওয়া শামীমা

শামীমা বেগম
শামীমা বেগম

জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) মতাদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে যুক্তরাজ্য থেকে সিরিয়ায় পাড়ি জমানো শামীমা বেগম ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন। আজ সোমবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

শামীমা নিজেই জানিয়েছেন, তিনি একটি ছেলেসন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

১৯ বছর বয়সী শামীমা স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমি যা কিছুর মধ্য দিয়ে গিয়েছি, সে জন্য আমার প্রতি মানুষের সহানুভূতিশীল হওয়া উচিত।’

সিরিয়ায় পাড়ি জমিয়ে ভুল করেছেন কি না, এমন প্রশ্নে শামীমা বলেন, ‘একদিক থেকে বললে, হ্যাঁ। তবে এ জন্য আমি অনুতপ্ত নই। কারণ, এটি ব্যক্তি হিসেবে আমাকে বদলে দিয়েছে।’

শামীমার পরিবারের এক আইনজীবী রেডিও ফোরকে বলেছেন, তাঁরা খুবই আনন্দিত যে শামীমা সুস্থভাবে একটি সন্তানের জন্ম দিয়েছেন।

ওই আইনজীবী জানান, শামীমার সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে তাঁরা খুবই উদ্বিগ্ন। তাঁরা শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফিরিয়ে আনতে চান।

চার বছর আগে মাত্র ১৫ বছর বয়সে সিরিয়ার উদ্দেশে বাড়ি ছাড়েন লন্ডনের বেথনাল গ্রিন একাডেমির ছাত্রী শামীমা। বাংলাদেশি পরিবারের সন্তান শামীমার সঙ্গে ছিলেন আরও দুজন—আমিরা আবাসি ও খাদিজা সুলতানা।

যুক্তরাজ্যের দৈনিক টাইমসের সাংবাদিক অ্যান্থনি লয়েড সম্প্রতি সিরিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এক শরণার্থীশিবিরে সাক্ষাৎ পান শামীমার। তখন শামীমা তাঁকে বলেছিলেন, তিনি নয় মাসের অন্তঃসত্ত্বা। আগে অপুষ্টিসহ বিভিন্ন রোগে ভুগে তাঁর দুই সন্তান মারা গেছে। অনাগত সন্তানকে বাঁচিয়ে রাখতে যুক্তরাজ্যে ফিরতে চান তিনি।

ছেলেসন্তান জন্মের পর শামীমা বলেন, আগেও তাঁর সন্তান হয়েছিল। তাদের সঙ্গে তাঁর ভালো সময় কেটেছিল। তবে এখন পরিস্থিতি কঠিন হয়ে গেছে। তিনি আর নিতে পারছেন না।

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, যুক্তরাজ্যের কোনো নাগরিক যদি অন্য কোনো দেশের নাগরিকত্ব দাবি না করেন, তবে তাঁকে দেশে ফিরে আসতে দিতে তারা বাধ্য। তবে শামীমাকে যুক্তরাজ্যে ফিরে আসতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।