ইমরানের যুক্তি খারিজ করল ভারত

ইমরান খান। ছবি: রয়টার্স
ইমরান খান। ছবি: রয়টার্স

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামার সহিংসতা নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বয়ান সরাসরি খারিজ করে দিল ভারত। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে বলেছে, বিশ্বকে বিভ্রান্ত না করে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর উচিত সেই দেশের জমি ব্যবহার করে যারা সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে বিশ্বাসযোগ্য ব্যবস্থা নেওয়া।

ইমরানের সমালোচনা করে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক যে এই সন্ত্রাসী আক্রমণ ও তার মোকাবিলার সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ভারতের আসন্ন নির্বাচনকে জড়িয়ে দিয়েছেন। এই মিথ্যাচার ভারত পুরোপুরিভাবে খারিজ করছে। ভারতীয় গণতন্ত্র গোটা বিশ্বের কাছে একটা মডেল। দুর্ভাগ্য যে পাকিস্তান তা কোনো দিনই বুঝতে পারবে না।
অতীতে ভারত একাধিকবার সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের যোগসাজশের প্রমাণ পাকিস্তানকে দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তান কারও বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ইমরান খানের প্রস্তাব, ভারত প্রমাণ দিলে তাঁর সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে ও তদন্ত করবে। এই প্রস্তাবকে ভারত ‘খোঁড়া যুক্তি’ বলে অভিহিত করে বলেছে, সন্ত্রাসবাদী হাফিজ সঈদের সঙ্গে তাঁর সরকারের মন্ত্রীরা প্রকাশ্যে দহরম–মহরম করছেন। এই নাকি ইমরান খানের ‘নয়া পাকিস্তান’! বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলওয়ামার ঘটনার দায় স্বীকার করেছে জইশ–ই–মোহাম্মদ এবং সন্ত্রাসবাদীরা। অথচ ইমরান তা উপেক্ষা করেছেন। জইশ নেতা মাসুদ আজহার যে পাকিস্তানের বাসিন্দা, তা অস্বীকার করার নয়। এটাই তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে। প্রমাণ বহুবার দেওয়া হয়েছে। ২৬/১১ হামলার প্রমাণও দেওয়া হয়েছিল। অথচ গত ১০ বছরে কিছুই হয়নি।
ইমরান খানের আলোচনার প্রস্তাবের জবাবে বলা হয়েছে, সন্ত্রাস ও হিংসামুক্ত বাতাবরণে পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় ভারত সব সময় প্রস্তুত। বিবৃতিতে এই কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর দাবি অনুযায়ী পাকিস্তান নাকি সন্ত্রাসের সবচেয়ে বড় বলি। এটা সত্য নয়। আন্তর্জাতিক দুনিয়া জানে, পাকিস্তানই সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর। নার্ভ সেন্টার। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলওয়ামাকাণ্ডকে পাকিস্তান সন্ত্রাসী হানা বলে মানতে চায়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এই জঘন্য অপরাধের নিন্দা করেননি। নিহত জওয়ানদের পরিবারকে সমবেদনাও জানায়নি। তাঁর এই আচরণে ভারত মোটেই বিস্মিত নয়।