উত্তর-পূর্ব ভারতে সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে একুশে পালন

শিলচর রেলস্টেশনের বধ্যভূমিতে ১১ শহীদকে স্মরণ। প্রথম আলো ফাইল ছবি
শিলচর রেলস্টেশনের বধ্যভূমিতে ১১ শহীদকে স্মরণ। প্রথম আলো ফাইল ছবি

উত্তর–পূর্ব ভারতে সম্প্রীতির বার্তা ছড়াতে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসকে। কাল বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে আসাম ও ত্রিপুরায় আয়োজন করা হয়েছে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের।

আসামের গুয়াহাটিতে ‘ব্যতিক্রম সামাজিক সংস্থা’ অসমিয়া ও বাঙালিদের সুসম্পর্ক তৈরির জন্য আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে পাঁচ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এবার তারা ‘একুশে সম্মাননা’ দিচ্ছে অসমিয়া সংস্কৃতিকর্মী জ্যোতিন বরা ও ত্রিপুরার জনজাতি সম্প্রদায়ের কবি শঙ্খশুভ্র দেববর্মণকে।

ব্যতিক্রমের সভাপতি সৌমেন ভারতীয়া প্রথম আলোকে বলেন, বাঙালি ও অসমিয়াদের সম্প্রীতির জন্যই ১২ বছর ধরে আসামে দিনটি পালন করা হচ্ছে। পাঁচ দিনের এই অনুষ্ঠানে এবারও অনেক অসমিয়া অংশ নেবেন।

গুয়াহাটিতে এবারের একুশের অনুষ্ঠানে মূল আকর্ষণ কালিকা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠিত ‘দোহার’–এর গান। ব্যতিক্রমের অনুষ্ঠানে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে গুয়াহাটিতে অবস্থিত বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন।

আসামের বরাক উপত্যকাতেও বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সংগঠন বেশ ঘটা করে দিনটি পালন করে।

বরাকের শিলচরে বাংলা ভাষার স্বীকৃতির দাবিতে ১৯৬১ সালের ১৯ মে ১১ জন শহীদ হন। তাই একুশের ভাষাশহীদদের জন্য এই শহরেও রয়েছে আলাদা শ্রদ্ধা।

ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন ও রাজ্য সরকারের শিক্ষা দপ্তর যৌথভাবে একাধিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। কাল আগরতলা শহরে আয়োজিত শোভাযাত্রায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেব অংশ নিতে পারেন বলেও জানা গিয়েছে।

উল্লেখ্য, ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পাওয়ার আগে থেকেই ত্রিপুরাতে ‘মাতৃভাষা দিবস’ হিসেবেই দিনটি পালিত হয়ে আসছে।

এবারও সরকারি ও বেসরকারি উভয় স্তরেই পালিত হবে দিনটি। আগরতলা বইমেলাও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। সেখানে বাংলার পাশাপাশি অন্যদের মাতৃভাষাও পেতে চলেছে বাড়তি গুরুত্ব।