ট্রাম্প চাইলেও আর সুযোগ নেই: উত্তর কোরিয়া

সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো বলেন, একটি সুযোগ হারিয়ে গেল। ছবি: রয়টার্স
সংবাদ সম্মেলনে উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো বলেন, একটি সুযোগ হারিয়ে গেল। ছবি: রয়টার্স

উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র আরও আলোচনা চাইলেও পিয়ংইয়ংয়ের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন হবে না। গতকাল বৃহস্পতিবার কোনো চুক্তি ছাড়াই হঠাৎ করে শেষ হয় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের মধ্যে দ্বিতীয় দফা সম্মেলন। 

ভিয়েতনামের রাজধানী হ্যানয়ে ওই বৈঠক হয়। বৈঠকের পর উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রি ইয়ং হো এ মন্তব্য করেন।

রি ইয়ং হো বলেন, বৈঠকে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে আংশিক অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি করা হয়েছিল। পুরোপুরি প্রত্যাহার নয়। তবে ট্রাম্প প্রশাসন জোর দিয়ে বলছে যে উত্তর কোরিয়া পুরোপুরি অবরোধ প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে। ওই বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র কী করতে চাইছে, তা পরিষ্কার ছিল না। আজ শুক্রবার বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

হ্যানয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-কিম। ছবি: রয়টার্স
হ্যানয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন ট্রাম্প-কিম। ছবি: রয়টার্স

গতকাল মধ্যরাতের পর ওই সংবাদ সম্মেলনে রি ইয়ং হো বলেন, ‘তাঁর দেশ খুবই বাস্তবসম্মত প্রস্তাব দিয়েছিল। যার মধ্যে ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক চুল্লি পুরোপুরি নিষ্ক্রিয় করার প্রস্তাব ছিল। এর বদলে উত্তর কোরিয়া কেবল আংশিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার চেয়েছিল। এই অবরোধের কারণে বেসামরিক অর্থনীতি এবং জনগণের জীবনযাত্রা বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, পরবর্তী সময়ে হ্যানয় শীর্ষ সম্মেলনের মতো একটি সুযোগ পাওয়া কঠিন হবে। আমাদের প্রস্তাব কখনোই পাল্টাবে না, এমনকি যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আবার আলোচনায় বসতে চায়।’

ওই বৈঠকের পর হ্যানয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, কিম বলেছেন তিনি ইয়ংবিয়ন পারমাণবিক চুল্লি নিষ্ক্রিয় করতে ইচ্ছুক। এটিই উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক প্রকল্পের সবচেয়ে বড় চুল্লি। তবে এটি নিষ্ক্রিয় তিনি করবেন, যদি যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর অবরোধ তুলে নেয়; যা যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষে সম্ভব নয়।

গত বুধবার বেশ ঢাক পিটিয়ে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে বৈঠকে বসেন ট্রাম্প আর উন। দুই দিনব্যাপী ওই বৈঠকে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসলেও শেষতক কিছুই হলো না। না কোনো চুক্তি, না কোনো সমাধান। এর আগে গত জুনে সিঙ্গাপুরে প্রথম সম্মেলন করেন ট্রাম্প–কিম। সে সময় পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণের বিষয়ে সম্মত হয় উত্তর কোরিয়া। তারা নিরস্ত্রীকরণ কার্যক্রম শুরু করেছিল, সেটাও শোনা গিয়েছিল। দ্বিতীয় সম্মেলনে চূড়ান্ত কোনো চুক্তি হবে—এমনটাই আশা করছিল হোয়াইট হাউস। তবে সব জল্পনা–কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ফলাফল শূন্য হয়ে শেষ হলো ঐতিহাসিক দ্বিতীয় বৈঠক।