পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দুষলেন জার্মান বিশেষজ্ঞ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার জন্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীকে দুষলেন বার্লিনের বিজ্ঞান ও রাজনীতিবিষয়ক গবেষণা সংস্থার এশিয়াবিষয়ক বিশেষজ্ঞ ক্রিস্টিয়ান ভাগনার।

কাশ্মীর–বৈরিতা নিয়ে ভারত-পাকিস্তানের সাম্প্রতিক সহিংসতা প্রসঙ্গে জার্মানির ডের স্পিগেল পত্রিকায় দীর্ঘ সাক্ষাৎকার দেন ভাগনার। তিনি বলেন, ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জন নিহত হওয়ার ঘটনা নয়াদিল্লিকে ক্ষিপ্ত করেছে। এই সন্ত্রাসী হামলার শোধ নিতেই ভারতীয় বিমানবাহিনী সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে।

ভাগনার বলেন, ৩০ বছর ধরেই ভারত–অধ্যুষিত জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ক্রমেই বেড়েছে এবং এসব ঘটনার পেছনে রয়েছে পাকিস্তানে মদদ পাওয়া নানা সন্ত্রাসী দল।

ক্রিস্টিয়ান ভাগনার জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন থেকেই পাকিস্তান জাতিসংঘের বেশ পুরোনো প্রস্তাব কাশ্মীরের জনগণ কোন দেশের সঙ্গে অন্তর্ভুক্ত হতে চায়, তা নিয়ে গণভোটের দাবি করছে। পাকিস্তান ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও বারবার বলে আসছে। তবে সন্ত্রাসীদের মদদ দেওয়ার বিষয়টি সবাই জানলেও তার তা সব সময় অস্বীকার করে আসছে। 

পাশাপাশি শ্রীনগরের রাজ্য সরকারের সঙ্গে দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের কাশ্মীরে অর্থনৈতিক উন্নয়ন বিষয়ে বেশ কিছু টানাপোড়ন রয়েছে। দিল্লির কেন্দ্রীয় সরকারের নানা সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিককালে বেশ বিক্ষোভ সংঘটিত হয়েছে। ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে কিছু কিছু ক্ষোভকে পুঁজি করে পাকিস্তানে ট্রেনিংপ্রাপ্ত জঙ্গি সংগঠনগুলো সেখানে প্রায়ই সন্ত্রাসী হামলা চালাচ্ছে।

ভাগনার বলেন, বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত সন্ত্রাসী দল জইশ-এ-মোহাম্মদের কার্যক্রম পাকিস্তানে ২০০২ সাল থেকে নিষিদ্ধ হলেও এদের সদর দপ্তর পাকিস্তানের পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুর। পাকিস্তানের গোয়েন্দা বাহিনীর বিরুদ্ধে এদের মদদ দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ২০০১ সালে ভারতীয় পার্লামেন্ট ও ২০১৬ সালে ভারতের পাঠানকোটে হামলার জন্য এদের দায়ী করা হয়।

ক্রিস্টিয়ান ভাগনার জোর দিয়ে বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ও গোয়েন্দাদের পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া জইশ-এ-মোহাম্মদের পক্ষে কখনোই এই ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়।