সোনার খনিতে শতাধিক ব্যক্তির মৃত্যুর আশঙ্কা

ধসে পড়া খনি থেকে উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে দড়ির লেন তৈরি করছে উদ্ধারকর্মীরা। নর্থ সুলাবেশি, ইন্দোনেশিয়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: রয়টার্স
ধসে পড়া খনি থেকে উদ্ধার অভিযানের অংশ হিসেবে দড়ির লেন তৈরি করছে উদ্ধারকর্মীরা। নর্থ সুলাবেশি, ইন্দোনেশিয়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

ইন্দোনেশিয়ায় নর্থ সুলাবেশিতে এক অবৈধ সোনার খনি ধসে পড়ার ঘটনার এক সপ্তাহ পর এখনো শতাধিক মানুষ আটকা পড়ে আছে বলে সতর্ক করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। তারা মারা গেছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এএফপির খবরে এ তথ্য জানানো হয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নর্থ সুলাবেশির বোলাং মোংগোনদো এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এরই মধ্যে উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে ১৯ জনকে জীবিত ও নয়জনকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছেন। গত ডিসেম্বরেও এই এলাকায় অবৈধ সোনার খনিতে দুর্ঘটনায় পাঁচজন নিহত হয়েছিল।

কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আরও এক সপ্তাহ তল্লাশি ও উদ্ধার অভিযান চলবে। তবে ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়া ব্যক্তিদের খাবার ও পানীয় পাঠানোর কোনো চেষ্টা চলছে—এমন কোনো কথা তারা বলেননি।

জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার মুখপাত্র সুতোপো পুরয়ো নুগরোগো বলেন, দুর্ঘটনার সময় খনিতে কতজন কাজ করছিল, তা এখনো জানা যায়নি। যারা সেখান থেকে বেঁচে ফিরেছে, তারা একেকজন একেক রকম তথ্য দিচ্ছে। এক বিবৃতিতে সুতোপো বলেন, ‘কেউ বলছে ৩০, কেউ বলছে ৬০...আবার কেউ ১০০, কারণ দুর্ঘটনার সময় অনেকে গভীর কূপে ছিল...তবে যে সংখ্যাটা অজানা, তা খুব বেশি হবে না।’

ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির কারণ উদ্ধারকর্মীরা প্রথম দিকে ভারী যন্ত্রপাতির পরিবর্তে হাতে গর্ত করে জীবিত ব্যক্তিদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছেন। তবে গর্তে যাঁরা আটকা পড়ে আছেন, তাঁদের স্বজনেরা গত সপ্তাহে উদ্ধারকাজে ভারী যন্ত্রপাতি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে।

খনি থেকে জীবিত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে উদ্ধারকর্মীরা।  নর্থ সুলাবেশি, ইন্দোনেশিয়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: রয়টার্স
খনি থেকে জীবিত একজনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে উদ্ধারকর্মীরা। নর্থ সুলাবেশি, ইন্দোনেশিয়া, ২৮ ফেব্রুয়ারি। ছবি: রয়টার্স

গতকাল রোববার খনির প্রবেশমুখের একটি গর্ত থেকে সব ধ্বংসস্তূপ সরানোর পরও কাউকে জীবিত অবস্থায় পাওয়া যায়নি।

২০১৬ সালে সুমাত্রার জাম্বি প্রদেশে অবৈধ সোনার খনির মাটি ধসে ১১ জন শ্রমিক নিহত হন। ২০১৫ সালেও জাভা দ্বীপে একই ধরনের দুর্ঘটনায় ১২ জন এবং সুমাত্রার জাম্বি প্রদেশে ১১ জন খনিশ্রমিক নিহত হন।