নিজ দেশের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাবে পাকিস্তান

পাকিস্তান সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্বে কয়েকটি দেশের আহ্বানের পরই পাকিস্তান এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল। ছবি: রয়টার্স
পাকিস্তান সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে বিশ্বে কয়েকটি দেশের আহ্বানের পরই পাকিস্তান এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল। ছবি: রয়টার্স

পাকিস্তান তার দেশে সব সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযানে নামছে। শিগগির এসব সন্ত্রাসী ও জঙ্গির বিরুদ্ধে কঠোর অভিযানে শুরু হবে। পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানান দেশটির তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী। সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে বিশ্বে কয়েকটি দেশের ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বানের পরই পাকিস্তান এমন সিদ্ধান্তের কথা জানাল।

উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বলেন, তাঁর সরকার সব জঙ্গি গোষ্ঠী, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দৃঢ় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাকিস্তানের মাটি ব্যবহার করে কেউ সন্ত্রাসী ও জঙ্গিবাদ চালাতে পারবে না। তবে তিনি বলেন, দেশের নিরাপত্তার বাহিনীর স্বার্থে এ সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলা যাবে না।

তবে পাকিস্তান ঠিক কবে সন্ত্রাসী দমনে অভিযান শুরু করবে, তার বিস্তারিত কিছু জানাননি ফাওয়াদ চৌধুরী।

পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী ফাওয়াদ চৌধুরী বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘উগ্রবাদীদের বিরুদ্ধে পাকিস্তান কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আমরা এক-এক গ্রুপের বিরুদ্ধে এক-এক ধরনের পরিকল্পনা ধরে এগিয়ে যাব। সন্ত্রাসী ও জঙ্গি গোষ্ঠীমুক্ত পাকিস্তান আমরা চাই। আমাদের লক্ষ্য পাকিস্তানের মাটিতে কোনো সন্ত্রাসী ও জঙ্গিগোষ্ঠী থাকবে না।’

ভারতের কাশ্মীরে হামলার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তর্জাতিক চাপে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে কি না? এমন প্রশ্নের জবাবে সরকারের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ডনকে বলেন, কারও চাপে পড়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। পাকিস্তানের স্বার্থেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। পরবর্তী প্রজন্মকে একটি সুন্দর পাকিস্তান দেওয়ার জন্য এ পদক্ষেপ। জইশ-ই-মুহাম্মদসহ কয়েকটি জঙ্গিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে অভিযান চলবে বলেও জানায় ওই সূত্রটি।

ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ১৪ ফেব্রুয়ারি সন্ত্রাসী হামলায় ৪০ জনের বেশি জওয়ান নিহত হন। এর দায় স্বীকার করে জইশ-ই-মুহাম্মদ। এর জেরে পাকিস্তানের ভেতরে ঢুকে বিমান হামলা চালায় ভারত। নয়াদিল্লির দাবি, ওই বিমান হামলায় পাকিস্তানভিত্তিক জঙ্গিগোষ্ঠী জইশ-ই-মুহাম্মদের বড় ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। নিহত হয়েছে ৩০০ জঙ্গি। কিন্তু ওই হামলায় এখন পর্যন্ত মাত্র একজনের আহত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়েছে বলে দাবি হামলাস্থল পাকিস্তানশাসিত কাশ্মীরের বালাকোটের বাসিন্দাদের। এরপরই প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জঙ্গিদের লাশ কই। এ হামলার জবাবে ২৭ ফেব্রুয়ারি ভারতীয় সীমানায় ঢুকে পড়ে পাকিস্তানের যুদ্ধবিমান। এদিনেই ভারতের দুইটি বিমান ভূপাতিত করে পাকিস্তান, আটক করে ভারতীয় পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে। অবশ্য গত শুক্রবার ভারতীয় পাইলট অভিনন্দনকে ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কমার লক্ষণ দেখা গেছে।