খাসোগির লাশ সম্ভবত বড় চুলায় পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে

সাংবাদিক জামাল খাসোগি।
সাংবাদিক জামাল খাসোগি।

সৌদি সাংবাদিক জামাল খাসোগির লাশ ইস্তাম্বুলের সৌদি কনস্যুলেট জেনারেলের আবাসিক ভবনের বড় চুলায় সম্ভবত পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার তদন্তে সোমবার এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। নিরাপত্তা কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ ও নিহত খাসোগির কয়েকজন তুর্কি বন্ধুর সাক্ষাৎকার নিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।

তুরস্ক কর্তৃপক্ষের পর্যবেক্ষণে বলা হয়, সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে খাসোগিকে হত্যার পর তাঁর লাশের অংশ ধারণ করা ব্যাগ কয়েক শ মিটার দূরে কনস্যুলেট জেনারেলের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বাসার বাইরে থাকা বড় চুলা জ্বলতে দেখা গেছে।

ওই চুলার নির্মাণকাজ করা এক কর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়েছে আল–জাজিরা। ওই কর্মী জানান, সৌদি কনস্যুলেটের বিশেষ চাওয়া অনুসারে চুলাটি তৈরি করা হয়েছিল। এটি গভীর ও এক হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা সহ্য করার ক্ষমতাসম্পন্ন ছিল, যা ধাতব পদার্থ গলিয়ে দিতে যথেষ্ট।

খাসোগির লাশ পোড়াতে তিন দিনের বেশি সময় লেগে গিয়েছিল বলেও জানানো হয়েছে। তুর্কি তদন্তকারীরা জানান, গত বছরের ২ অক্টোবর ওয়াশিংটন পোস্টের কলামিস্ট খাসোগি হত্যার পর তাঁর রক্ত সৌদি কনস্যুলেট দপ্তরের দেয়ালে লেগেছিল। গুপ্তহত্যার দল সেই রক্তের দাগ রং দিয়ে মুছে দিয়েছিল।

ব্যক্তিগত কাগজপত্রের প্রয়োজনে ২০১৮ সালের ২ অক্টোবর সৌদি কনস্যুলেট ভবনে জামাল খাসোগি প্রবেশ করেন এবং সেখান থেকে আর বের হননি। পরে তাঁকে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়। সে সময় খবরে বলা হয়, সৌদি থেকে দুটি ব্যক্তিগত বিমানে আসা ১৫ সদস্যের একটি স্কোয়াড কনস্যুলেট ভবনের ভেতর খাসোগি হত্যায় অংশ নেয়। হত্যার পর ওই স্কোয়াড দ্রুত তুরস্ক ত্যাগ করে। তুরস্কের স্থানীয় দৈনিকগুলোয় ওই ১৫ জনের ছবি ও পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিন ব্যক্তি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্বে নিয়োজিত বিশেষ ইউনিটের সদস্য।