ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পাকিস্তানে বিমান হামলায় নিহতের সংখ্যা কত তা জানালেন

নির্মলা সীতারামন। রয়টার্স ফাইল ছবি
নির্মলা সীতারামন। রয়টার্স ফাইল ছবি

পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় নিহত মানুষের সংখ্যা নিয়ে সৃষ্ট বিতর্কের বিষয়ে নীরবতা ভেঙেছেন ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। ওই হামলার পর পররাষ্ট্রসচিব বিজয় গোখলের প্রেস কনফারেন্সের কথা উল্লেখ করে সীতারামন বলেন, ‘পররাষ্ট্রসচিব বিবৃতিতে যা বলেছেন, সেটাই আসল সংখ্যা।’

মঙ্গলবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি জানিয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যার কথা বলেননি। মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছিল, ‘এই অভিযানে জইশ-ই-মুহাম্মদের (জেইএম) বড়সংখ্যক সন্ত্রাসী, জ্যেষ্ঠ কমান্ডার, জিহাদি গোষ্ঠী, যারা প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল, তাদের নিশ্চিহ্ন করা হয়েছে।’ এমনকি ভারতীয় বিমানবাহিনীও হতাহতের সুনির্দিষ্ট কোনো সংখ্যা প্রকাশ করেনি।

সোমবার ভারতের বিমানবাহিনীর প্রধান বিএস ধানোয়া বলেন, ‘বিমানবাহিনী হতাহতের সংখ্যা হিসাব করেনি। সেখানে কত সংখ্যক মানুষ ছিল, সেটা হিসাব করার মতো অবস্থানে বিমানবাহিনী ছিল না। আমরা মানুষ হতাহতের গণনা করি না। আমরা গণনা করি লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানা হয়েছে কি না।’

এ দিকে ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির প্রধান অমিত শাহ দাবি করেন, গত সপ্তাহের ওই হামলায় ২৫০ সন্ত্রাসী নিহত হয়েছে। এই বক্তব্যের বিরোধিতা করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভি কে সিং বলেন, নিহতের এই সংখ্যাটা ঠিক নয়।

গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের নিয়ন্ত্রণরেখায় (লাইন অব কন্ট্রোল) ভারতীয় বিমানবাহিনীর হামলায় ৩০০ জন জঙ্গি নিহত হয় বলে দাবি করে ভারত। ওই দিন ভোরে পাকিস্তানের জইশ-ই-মুহাম্মদ, হিজবুল্লাহ মুজাহেদিন ও লস্কর-ই-তাইয়েবার স্থাপনায় এই বিমান হামলা চালানো হয়।

ওই ঘটনার পর পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব বিজয় গোখলে সরকারি এক বিবৃতিতে জানান, নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে জয়েশ জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করেছে বিমানবাহিনী। নিহত হয়েছেন জইশ-ই-মুহাম্মদের সিনিয়র কমান্ডাররা।

ভারতীয় বিমানবাহিনী জানিয়েছিল, তাদের ১২টি মিরেজ ২০০০ জেট বিমান এ হামলায় অংশ নেয় এবং ১ হাজার কেজি বোমা বর্ষণ করে অনেক স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিয়েছে।

এ দিকে বালাকোট হামলার পর থেকেই বরাবরই নিহতের সংখ্যা ও ক্ষয়ক্ষতির বিষয়ে অস্বীকার করছে পাকিস্তান।