ভারত কি তবে হামলা করেনি?

সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট অপারেটর প্ল্যানেট ল্যাব ইনকরপোরেশনের কাছ থেকে এই ছবি পেয়েছে রয়টার্স। ছবি: রয়টার্স ও প্ল্যানেট ল্যাব ইনকরপোরেশন
সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট অপারেটর প্ল্যানেট ল্যাব ইনকরপোরেশনের কাছ থেকে এই ছবি পেয়েছে রয়টার্স। ছবি: রয়টার্স ও প্ল্যানেট ল্যাব ইনকরপোরেশন

বালাকোটে পাকিস্তানি জঙ্গি স্থাপনায় ভারত হামলা চালিয়ে ব্যাপক প্রাণহানি ঘটানোর যে দাবি করে আসছে, সেই হামলার স্থানে ঘরবাড়ি অক্ষত থাকার একটি চিত্র প্রকাশ করেছে রয়টার্স।

উচ্চমানসম্পন্ন উপগ্রহ ছবি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, পাকিস্তানের বালাকোটের কাছে জইশ-ই-মুহাম্মদের যে প্রশিক্ষণ শিবিরে ভারত হামলা চালিয়েছিল বলে দাবি করেছে, সেখানে জইশ পরিচালিত মাদ্রাসা ভবন অক্ষত রয়েছে।

সানফ্রান্সিসকোভিত্তিক বেসরকারি স্যাটেলাইট অপারেটর প্ল্যানেট ল্যাব ইনকরপোরেশনের কাছ থেকে এই ছবি পাওয়া গেছে বলে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। আজ বুধবার রয়টার্সের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ছবি পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, ভারতের বোমা হামলার ছয় দিন পর ৪ মার্চ ওই মাদ্রাসার স্থানে অন্তত ছয়টি ভবন রয়েছে।

জইশ-ই-মুহাম্মদের ঘাঁটিতে ভারতের হামলার পর থেকে এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোনো স্যাটেলাইট ছবি পাওয়া যায়নি। কিন্তু প্ল্যানেট ল্যাবের কাছ থেকে ওই সব ছবিতে (যা ৭২ সেন্টিমিটার পর্যন্ত ছোট জিনিসও বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেছে) ভারত সরকার যেখানে হামলা চালিয়েছে বলে দাবি করছে, সেখানে পরিষ্কারভাবে ওই কাঠামোগুলো দৃশ্যমান।

২০১৮ সালের এপ্রিলে তোলা স্যাটেলাইট ছবিগুলোর সঙ্গে নতুন এই ছবিগুলোর তেমন কোনো পার্থক্য নেই। ভবনগুলোর ছাদে স্পষ্ট কোনো গর্ত নেই, দাহ্য পদার্থের আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই, বিস্ফোরণে দেয়াল উড়ে গেছে—এমন চিহ্ন নেই। মাদ্রাসার আশপাশে উপড়ে পড়া কোনো গাছ নেই। এমনকি বিমান হামলার অন্য কোনো চিহ্নই নেই।

নতুন এই ছবি পাকিস্তানে হামলার বিষয়ে ভারত সরকারের দাবির বিষয়টিকে বিতর্কিত করে তুলেছে। ভারত সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গত ২৬ ফেব্রুয়ারি খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোট শহরের জাবা গ্রামের মাদ্রাসা এলাকায় বিমান হামলা চালায় ভারত।

এ উপগ্রহ ছবির বিষয়ে ভারতের পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করে রয়টার্স। তবে তারা এখন পর্যন্ত কোনো বিবৃতি দেয়নি।