মোদি ধরে রাখতে পারবেন গদি?

ভারতে নির্বাচনের ঢাকে কাঠি পড়েছে। নেমে পড়েছে ভারতের তিনটি জোট নির্বাচনী ময়দানে। একদিকে বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ, অন্যদিকে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ। তৃতীয় জোটটি হলো মমতার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড ইন্ডিয়া জোট। মোদি আর তাঁর দলকে ক্ষমতা থেকে সরাতে কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ আর মমতার জোট ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার জোর প্রচেষ্টা চলছে।

এত দিন ধরে ভারতে যেসব সমীক্ষা হয়েছে, এর কোনোটিতে তিন জোটের প্রধান শরিক দল বা জোটকে এককভাবে জয়ের ইঙ্গিত দেওয়া হয়নি। তবে বলা হয়েছে, মোদির নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন এনডিএর আসন কমবে, কংগ্রেসের আসন বাড়বে। বিজেপি আর এককভাবে ক্ষমতায় যেতে পারবে না।

২০১৪ সালের সর্বশেষ নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় যায়। বিভিন্ন সমীক্ষায় বলা হচ্ছে, এবার ১০০ আসন হারাবে এ জোট। তবে ২৬ ফেব্রুয়ারি ভারতের বিমানবাহিনীর পাকিস্তানের বালাকোটে হামলার পর বিজেপির ভাবমূর্তি এবং মোদির জনসমর্থন বেড়েছে। এতে অনেক আসনে উতরে যাবে তারা। তাদের আসন কমতে পারে ৫০টির মতো।

গতকাল প্রকাশিত সি-ভোটারের এক সমীক্ষায় এ কথা বলা হয়েছে। পাকিস্তানের জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমানবাহিনীর হামলার পর মোদির জন্য সুবিধা হলেও রাহুলের জনসমর্থন কিছুটা কমেছে। তবে কংগ্রেস জোট মোদিকে ধরাশায়ী করার ব্যাপারে আশাবাদী।

২০০৪ সালে সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে গঠিত হয়েছিল ইউপিএ। এখন এই ইউপিএর সদস্য ২৮টি রাজনৈতিক দল। ইউপিএর লোকসভায় সদস্য রয়েছেন ৬৪ জন আর রাজ্যসভায় রয়েছেন ৬৬ সাংসদ। ইউপিএর প্রধান শরিক দল কংগ্রেসের বর্তমান সভাপতি রাহুল গান্ধী।

এনডিএর শরিক দল ২৯টি। এনডিএর প্রধান শরিক বিজেপি। এর কেন্দ্রীয় সভাপতি অমিত শাহ। ৫৪৩ আসনের লোকসভায় এনডিএর আসনসংখ্যা ৩৪১। রাজ্যসভায় আসন রয়েছে ১০১।

তৃতীয় জোট মমতার ইউনাইটেড ইন্ডিয়ায় রয়েছে ২৩টি দল। ইউনাইটেড ইন্ডিয়ার নেতৃত্বে ভারতে নতুন সরকার গঠনের ব্যাপারে তারা আশাবাদী। মমতার জোট এবং কংগ্রেস জোটের তরফ থেকে বলা হয়েছে তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলের পর ঘোষণা করা হবে।

এপ্রিল-মে মাসে হতে যাচ্ছে ভারতের ৫৪৩ আসনের লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে লোকসভার ৪২টি আসন।