মালয়েশিয়ায় রাসায়নিক বর্জ্যের গন্ধে ৩০০ জনের মতো অসুস্থ, বন্ধ ৩৪ স্কুল

অসুস্থ এক মালয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, শিল্পবর্জ্যের বিষাক্ত গ্যাসে এই সমস্যার সূত্রপাত। ছবি: গলফ টুডে থেকে সংগৃহীত
অসুস্থ এক মালয় শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে নেওয়া হচ্ছে। কর্তৃপক্ষের ধারণা, শিল্পবর্জ্যের বিষাক্ত গ্যাসে এই সমস্যার সূত্রপাত। ছবি: গলফ টুডে থেকে সংগৃহীত

মালয়েশিয়ায় শিল্পপ্রতিষ্ঠানের রাসায়নিক বর্জ্যের গন্ধে ৩৪টি স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এসব প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের ৩০০ জনের মতো মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়লে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বুধবার দেশটির শিক্ষামন্ত্রী মাজলি মালিক এই তথ্য জানিয়েছেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ জোহরের পাসির গুডাং শহরে এ ঘটনা ঘটে। গত সপ্তাহে সেখানকার একটি নদীতে এক লরি শিল্পবর্জ্য ডাম্পিং করে ফেলার সময় থেকে এই সমস্যার সূত্রপাত। তবে সেখানকার শিল্পবর্জ্যে কী ধরনের বিষাক্ত গ্যাস রয়েছে, তা এখনো পরিষ্কার করা হয়নি।

শিক্ষামন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে বলা হয়, ওসব বর্জ্য ডাম্পিংয়ের সময় পোড়ানো হয়। এতে আশপাশের এলাকা বিষাক্ত ধোঁয়ায় ছেয়ে যায়। শিক্ষামন্ত্রী বলছেন, পরিস্থিতি ভীষণ খারাপের দিকে যাচ্ছে।

মালয়েশিয়ার বার্তা সংস্থা বারনামার প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩০০–এর মতো অসুস্থ হয়ে পড়া এসব লোকের মধ্যে বহু শিশু রয়েছে। অসুস্থদের কারও কারও বমি হচ্ছে। আবার কারও কারও বমি বমি ভাব হচ্ছে। এদের মধ্যে অনেককেই হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী মাজলি মালিক বলেছেন, তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনি অনেক শিক্ষার্থীকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনতে দেখেছেন। এরপরই তিনি ওই এলাকায় থাকা ৩৪টি বিদ্যালয় বন্ধের নির্দেশ দেন।

শিক্ষামন্ত্রী এক বিবৃতিতে আরও বলেন, তাঁর মন্ত্রণালয় বিষয়টি বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখছে। কারণ, এর সঙ্গে শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্কুলের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জীবন-মরণের সম্পর্ক জড়িত।

এদিকে দেশটির পরিবেশ মন্ত্রণালয় বলছে, তারা এক ব্যক্তিকে এই বর্জ্য ডাম্পিংয়ের সঙ্গে জড়িত বলে সন্দেহ করছে। বৃহস্পতিবার তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ তোলা হবে। দোষী প্রমাণিত হলে পরিবেশ নিরাপত্তার আইন ভঙ্গের দায়ে ওই ব্যক্তির পাঁচ বছরের জেল হতে পারে।