ব্রেক্সিট নিয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোট আজ

কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব গতকাল বুধবার নাকচ করে দেন ব্রিটিশ এমপিরা। ছবি: রয়টার্স
কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়া ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব গতকাল বুধবার নাকচ করে দেন ব্রিটিশ এমপিরা। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সঙ্গে বিচ্ছেদ (ব্রেক্সিট) বিলম্বিত করতে ভোট দেবেন ব্রিটিশ এমপিরা। আজ বৃহস্পতিবার এই ভোটাভুটি হওয়ার কথা। এর আগে গত মঙ্গলবার সমঝোতার ভিত্তিতে ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ কার্যকর করতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে যে চুক্তি সম্পাদন করেছেন, সেটি আবারও প্রত্যাখ্যান করেন ব্রিটিশ আইনপ্রণেতারা।

এরপর আবার গতকাল বুধবার কোনো ধরনের চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে বেরিয়ে যাওয়ার প্রস্তাব নাকচ করে দেন ব্রিটিশ এমপিরা। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে ভোটাভুটিতে ৩১২ জন সংসদ সদস্য প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দেন, আর পক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩০৮ জন। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

ইইউ থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য আরও সময় নেওয়া হবে কি না, এ নিয়ে আজ ভোট দেবেন এমপিরা। সেখানে যদি প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন সংসদ সদস্যরা এবং ইইউ তাতে সম্মত হয়, তাহলে আগের পরিকল্পনা অনুযায়ী ২৯ মার্চের মধ্যে আর যুক্তরাজ্যকে ইইউ ছাড়তে হবে না। তবে এই ভোটাভুটি বাধ্যতামূলক নয়। কোনো সমঝোতা না হলে বর্তমান আইন অনুযায়ী ২৯ মার্চ কোনো চুক্তি ছাড়াই ইইউয়ের সঙ্গে বিচ্ছেদ হবে যুক্তরাজ্যের।

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, অল্প কিছু সময় বাড়তে পারে, আবার অনেক বেশি সময় বাড়তে পারে। বিষয়টি নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রীর নতুন ব্রেক্সিট চুক্তির ওপর, যে চুক্তিতে ২০ মার্চের মধ্যে ইইউকে একমত হতে হবে। অর্থাৎ, আগামী কয়েক দিনের মধ্যে পার্লামেন্টে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে ব্রেক্সিট চুক্তির তৃতীয় প্রচেষ্টা নিয়ে আসতে হবে।

ইইউ ছেড়ে গেলে ইইউভুক্ত দেশগুলোয় বসবাসরত ব্রিটিশ নাগরিকদের জন্য একটি সুবিধাজনক চুক্তি করতে চাইছে যুক্তরাজ্য। ইইউভুক্ত দেশগুলোয় ব্রিটিশ ব্যবসায়ী ও কোম্পানিগুলো কী ধরনের সুবিধা পাবে, সেটিও একটি বিষয়।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ইইউয়ের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর একটি খসড়া চুক্তি করেছিলেন, যা গত জানুয়ারিতে ব্রিটিশ পার্লামেন্ট এক ভোটাভুটিতে বাতিল করে দেন এমপিরা। পরে ইইউ নেতাদের সঙ্গে নতুন দেনদরবার করে কিছুটা পরিবর্তিত আকারে চুক্তিটি আবার সংসদে এনেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মে। কিন্তু মঙ্গলবার আরেকটি ভোটাভুটিতে ব্রেক্সিটের জন্য থেরেসা মের খসড়া চুক্তি দ্বিতীয়বারের মতো বাতিল করে দেয় ব্রিটিশ পার্লামেন্ট।