যেভাবে ধরা হয় সেই হামলাকারীকে

ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। ছবি: সংগৃহীত
ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে হামলাকারী ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট। ছবি: সংগৃহীত

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় স্থানীয় বিভিন্ন মানুষের বীরত্বের খবর ধীরে ধীরে প্রকাশিত হচ্ছে। হামলাকারী সন্ত্রাসীকে কীভাবে গ্রেপ্তার করা হয়, সেই ঘটনাও জানা গেছে।

বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, ওই সন্ত্রাসী একাই দুটি মসজিদে হামলা চালিয়েছিল বলে ধারণা করছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ। সন্ত্রাসীর অনবরত গুলির মুখে প্রথম প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন এক আফগান অভিবাসী। পরে পুলিশের দুই স্থানীয় সদস্য ধাওয়া করে সন্ত্রাসীকে আটক করেন।

ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট নামের অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী তরুণ গত শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের আল নুর মসজিদে স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে জুমার নামাজ চলাকালে মুসল্লিদের লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন। কাছাকাছি লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালানো হয়। দুই মসজিদে হামলায় প্রাণ হারান ৫০ জন। আহত হয়েছেন আরও অনেকে। এরই মধ্যে ব্রেনটনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়েছে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ।

বিবিসি বলছে, আল নুর মসজিদে গুলি চালানোর পর ব্রেনটন লিনউড মসজিদে যান। সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলেন আবদুল আজিজ নামের এক আফগান অভিবাসী। তিনি প্রথমে ব্রেনটনের দিকে ক্রেডিট কার্ড মেশিন ছুড়ে মেরেছিলেন।

ওই সময় আরেকটি বন্দুক সংগ্রহ করতে নিজের গাড়ির কাছে গিয়েছিলেন ব্রেনটন। তখন আজিজকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ব্রেনটন। তখন রাস্তায় পড়ে থাকা একটি বন্দুক তুলে গুলি চালানোর চেষ্টা করেন আজিজ। কিন্তু ওই বন্দুকে গুলি ছিল না। আবদুলের হাতে বন্দুক দেখে নিজের বন্দুক ফেলে পালানোর চেষ্টা করেন ব্রেনটন। পরে তিনি গাড়িতে ঢুকে চলে যান। এ সময় ব্রেনটনের দিকে বন্দুক ছুড়ে মারেন আবদুল।

বিবিসি বলছে, দুজন স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তা এরপর ব্রেনটনের পিছু নেন। পরে ব্রেনটনের গাড়ি আটকে দেন পুলিশের সদস্যরা। এই দুই পুলিশ সদস্যের হাতেই গ্রেপ্তার হন ব্রেনটন।

জানা গেছে, ক্রাইস্টচার্চে হামলা চালানো সন্ত্রাসী ব্রেনটন বৈধ অস্ত্র বহন করছিলেন। তাই হামলায় ব্যবহৃত গুলি কিনতে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। নিউজিল্যান্ডের সরকার এখন বলছে, দেশটির অস্ত্র আইনে শিগগিরই পরিবর্তন আনা হবে।