অস্ত্র আইন পরিবর্তনে সম্মত নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা

নিউজিল্যান্ডে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশটির অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনাসহ জঙ্গি নজরদারির তালিকা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে
নিউজিল্যান্ডে আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশটির অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনাসহ জঙ্গি নজরদারির তালিকা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ছবি: বিবিসির সৌজন্যে

নিউজিল্যান্ডের মন্ত্রিসভা অস্ত্র আইনে ‘নীতিগত’ পরিবর্তন আনতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন। আজ সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে দেশটির অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনাসহ জঙ্গি নজরদারির তালিকা এবং জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ইস্যু নিয়ে আলোচনা হয়। ওই বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা জানান। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে অস্ত্র আইনের ‘নীতিগত’ পরিবর্তন আনতে মন্ত্রিসভা সম্মত হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

গত শুক্রবার স্থানীয় সময় বেলা দেড়টার দিকে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে আল নুর মসজিদে জুমার নামাজ আদায়রত মুসল্লিদের ওপর প্রথমে সন্ত্রাসী হামলা হয়। কিছু পরে লিনউড মসজিদে দ্বিতীয় হামলা হয়। দুটি মসজিদে হামলায় ৫০ জন নিহত হন। আহত প্রায় ৫০ জন। হামলাকারী অস্ট্রেলীয় বংশোদ্ভূত ২৮ বছর বয়সী তরুণ ব্রেনটন হ্যারিসন টারান্ট আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলি চালায়। হামলার ঘটনাটি ফেসবুকে লাইভস্ট্রিমও করেন তিনি।

ব্রেনটন বৈধ অস্ত্র বহন করেছিলেন। তাই হামলায় ব্যবহৃত গুলি কিনতে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। এ ঘটনার পর অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনার বিষয়ে জোর দাবি ওঠে। নিউজিল্যান্ডের সরকারও জানায়, শিগগিরই দেশটির অস্ত্র আইনে পরিবর্তন আনা হবে। আজকে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই বিষয়ে আলোচনা হয়।

পরে সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আগামী ২৫ মার্চের মধ্যেই এই সংস্কারের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। অর্থাৎ, ওই ঘটনার ১০ দিনের মধ্যেই অস্ত্র আইন পরিবর্তন করতে যাচ্ছে নিউজিল্যান্ড।