জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের দাবি

জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল। ছবি: সংগৃহীত
জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল। ছবি: সংগৃহীত

জার্মানির অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বারবার নাক গলানোর কারণে জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেলকে বহিষ্কারের দাবি উঠেছে। জার্মানির লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের নেতা ভলফগ্যাং কিউবিকি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বহিষ্কারের এই দাবি তুলেছেন।

বিভিন্ন রকম অকূটনৈতিক আচরণের জন্য মার্কিন রাষ্ট্রদূত বিভিন্ন সময় সমালোচিত হয়েছেন। জার্মানির এই রাজনৈতিক নেতা ভলফগ্যাং কিউবিকি বলেছেন, জার্মান রাজনীতির প্রতি এই মার্কিন কূটনীতিকের কোনো ধরনের সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ নেই।

জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল সম্প্রতি জার্মানির অভ্যন্তরীণ জাতীয় বাজেট নিয়েও সমালোচনা করেছেন। সম্প্রতি জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শুলজ যে বাজেট পেশ করেছেন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল সেই বিষয়ে সমালোচনা করলে, জার্মানির অনেক রাজনীতিক বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করে বলেছেন, ‘আমাদেরও সহনশীলতার সীমা রয়েছে।’

এর আগে জার্মানির জাতীয় বাজেটের অভ্যন্তরীণ উৎপাদিত পণ্য (জিডিপি) ২ শতাংশ ন্যাটো জোটে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের কথা বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি বলে সমালোচনা করেন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল। জার্মান অর্থমন্ত্রী ওলাফ শুলজের পেশকৃত বাজেটে পরিকল্পনা অনুযায়ী, জিডিপিতে প্রতিরক্ষা ব্যয়ের পরিমাণ স্বল্পমেয়াদে ১ দশমিক ৩৭ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে, তবে মাঝারি মেয়াদে আবার হ্রাস পাবে। জার্মান সরকার এরই মধ্যে সামরিক খাতে বাজেট হ্রাস করার বিষয়ে বিবেচনা করছে। রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল আরও বলেছেন, জার্মানির বাজেটের এমন সিদ্ধান্ত ন্যাটো জোটের অন্য ২৮ সদস্য রাষ্ট্রকেও অস্বস্তিতে ফেলবে।

জার্মানির লিবারেল ডেমোক্রেটিক দলের নেতা ভলফগ্যাং কিউবিকি জানান, জার্মানির মতো একটি সার্বভৌম রাষ্ট্রে একজন কূটনীতিকের এই ধরনের আচরণ কোনো সময় মেনে নেওয়া যায় না। কিউবিকি আরও বলেন, মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে অবাঞ্ছিত ও বহিষ্কারে বিষয়ে জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাশকের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। জার্মান সংসদে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক দলের সংসদীয় প্রধান ক্যাস্টনার স্নাইডারও মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে একজন অযোগ্য কূটনীতিক এবং তাঁর বিরক্তকর বক্তব্য দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব পড়বে বলে জানিয়েছেন।

জার্মানিতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড গ্রেনেল রাশিয়ার সঙ্গে ইউরোপের নর্থ স্ট্রিম গ্যাসলাইন নিয়ে অযাচিত কথাবার্তা ও ইরানের সঙ্গে ব্যবসারত জার্মান প্রতিষ্ঠানগুলোকে তা বন্ধ করবার জন্য চিঠি লিখে সমালোচনার পাত্র হয়েছিলেন।