সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন

সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পাকিস্তানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এ ছাড়া পাকিস্তানকে সতর্ক করে বলেছে, ভারতে আবারও কোনো সন্ত্রাসী হামলা হলে তাতে ভয়াবহ সমস্যার মধ্যে পড়বে দেশটি।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বুধবার বলেছেন, আমরা দেখতে চাই পাকিস্তান জইশ-ই-মুহাম্মদ (জেইএম), লস্কর-ই-তৈয়বাসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের বিরুদ্ধে যথাযথ এবং দীর্ঘ মেয়াদি ব্যবস্থা নিয়েছে। এই অঞ্চলে উত্তেজনা যাতে আর বৃদ্ধি না পায়, সে জন্য এই উদ্যোগ নিতে হবে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা বলেন, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পাকিস্তান যদি দীর্ঘ মেয়াদি ও আন্তরিক পদক্ষেপ গ্রহণ না করে এবং কোনো সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে, তবে ভয়ংকর সংকটের মধ্যে পড়তে হবে দেশটিকে। এর ফলে আবারও উত্তেজনা বৃদ্ধি পাবে; যা দুই দেশের জন্যই বিপজ্জনক হবে।

ভারতনিয়ন্ত্রিত পুলওয়ামায় গত ১৪ ফেব্রুয়ারি আত্মঘাতী হামলায় দেশটির সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) ৪০ জওয়ান নিহত হন। ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল জেইএম। এরপর পাকিস্তাননিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিমান হামলা চালায় ভারত। পরে পাকিস্তান দেশটির সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে। এ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে সেই কর্মকর্তা বলেন, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক মহল দেখতে চায় পাকিস্তান ওই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধে ‘অপরিবর্তনীয় ও দীর্ঘ মেয়াদি’ পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ বিবৃতি দেওয়ার সময় এখনো হয়নি।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর বিরুদ্ধে পাকিস্তান প্রাথমিক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কয়েকটি সন্ত্রাসী সংগঠনের সম্পদ জব্দ করেছে, কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ছাড়া জেইএমের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘তবে আমরা আরও পদক্ষেপ দেখতে চাই। অতীতের বিভিন্ন ঘটনার কারণে পাকিস্তানের অপরিবর্তনীয় পদক্ষেপ নেওয়া দরকার। এর আগে তারা কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং পরে তাদের ছেড়ে দিয়েছে। এ ছাড়া ওই সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাদের দেশের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণের অনুমতি দিয়েছে পাকিস্তান।’

ওই কর্মকর্তা বলেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে আন্তর্জাতিক সহযোগীদের সঙ্গে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ ওই সন্ত্রাসী সংগঠনগুলো দীর্ঘদিন ধরে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

পুলওয়ামায় হামলার পর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পেলে তা প্রশমনে কাজ করেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এই উত্তেজনা কমাতে চীন, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার, যুক্তরাজ্য, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাহায্য নিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র।