ব্রেক্সিট নিয়ে এমপিদের বিকল্প প্রস্তাবের ভোটাভুটি আজ

পার্লামেন্টে থেরেসা মে।
পার্লামেন্টে থেরেসা মে।

ব্রেক্সিট বিষয়ে বিকল্প প্রস্তাবের ওপর আজ মতামত দেবেন ব্রিটিশ এমপিরা। তাঁরা প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মেকে সতর্ক করেছেন যে ব্রেক্সিট বিষয়ে কোনো পরিবর্তন না হলে আরও এমপি পদত্যাগ করবেন। আজ বুধবার হাউস অব কমন্সে এ বিষয়ে ভোটাভুটি হওয়ার কথা।

২০১৬ সালের জুনে গণভোটে ব্রেক্সিট সিদ্ধান্তের পর থেকে এখন পর্যন্ত থেরেসা মের মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছেন ৩৯ জন।

সাবেক মন্ত্রী অ্যালিস্টার বার্ট বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে এখন একটি ‘ভিন্ন উত্তর’ খুঁজে নিতে হবে। তবে এতে বিশৃঙ্খলা দেখা দেওয়ার আশঙ্কা আছে বলেও সতর্ক করেন সাবেক ব্রেক্সিট সচিব ডেভিড ডেভিস।

সাবেক পররাষ্ট্রসচিব বরিস জনসন বিবিসিকে বলেন, থেরেসা মের চুক্তি কোনো দিক দিয়েই সমর্থনযোগ্য নয়। তা না হলে দেশ ইউরোপীয় ইউনিয়নের চুক্তিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য বাঁধা পড়বে।

এর আগে গত সোমবার ব্রেক্সিট বিষয়ে বিভিন্ন বিকল্প নিয়ে সংসদের মতামত যাচাইয়ের প্রস্তাবে ভোটাভুটি হয়। পার্লামেন্টের কাছে ধরাশায়ী হন প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। ব্রেক্সিট বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আইনপ্রণেতারা সংসদীয় কার্যবিধির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেন। এতে কার্যত ব্রেক্সিট প্রক্রিয়ার নিয়ন্ত্রণ পার্লামেন্টে চলে গেছে।

যুক্তরাজ্যের ইতিহাসে সরকারের কাছ থেকে নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। ওই ভোটাভুটিতে ৩২৯ জন আইনপ্রণেতা এর পক্ষে ভোট দেন। আর বিপক্ষে ছিলেন ৩০২ জন। সরকারের ক্ষমতা খর্ব করার সর্বদলীয় ওই প্রস্তাবের উদ্যোক্তা ক্ষমতাসীন দলেরই লোক—আইনপ্রণেতা অলিভার লেটউইন।

এদিন অধিবেশনের শুরুতে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে নিয়ন্ত্রণ কেড়ে নেওয়ার এই প্রচেষ্টার বিষয়ে সংসদকে সতর্ক করেন। তিনি বলেন, এ প্রচেষ্টা সফল হলে তা ক্ষমতার ভারসাম্যের রীতিতে ক্ষতিকর নজির তৈরি করবে। তিনি আরও বলেন, ব্রেক্সিট নিয়ে সংসদ এমন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারে, যেটি হয়তো সরকারের ইশতেহারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক অথবা ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) তাতে রাজি হবে না। সংসদের চাপিয়ে দেওয়া সিদ্ধান্ত সরকার মানতে বাধ্য নয় বলে জানিয়ে দেন মে। সংসদের মতামত যাচাইয়ে সরকারের পক্ষ থেকেই ভোটাভুটি আয়োজনের প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কিন্তু সর্বদলীয় ওই প্রস্তাবের সমর্থকেরা বলেন, তাঁরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতিতে আস্থা রাখতে পারছেন না। কারণ, গত আড়াই বছরেও ব্রেক্সিটের সম্ভাব্য বিকল্পগুলো নিয়ে আইনপ্রণেতাদের মতামত দেওয়ার সুযোগ দেননি প্রধানমন্ত্রী।