ভোটের প্রচারে মোদির অস্ত্র পাকিস্তানে বিমান হামলা

উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রচারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত
উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রচারে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ছবি: সংগৃহীত

পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বিমানবাহিনীর ‘হামলার সাফল্যকেই’ ভোটযুদ্ধে হাতিয়ার করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। আজ শনিবার উত্তর-পূর্ব ভারতের অরুণাচল প্রদেশ ও আসামে ভোটের প্রচারে জঙ্গি দমনে বর্তমান সরকারের কড়া মনোভাবের কথাই তাঁর বক্তৃতায় বেশি গুরুত্ব পেল।

১১ এপ্রিল ভারতে প্রথম দফার নির্বাচন। আসামের উত্তর ভাগ ও চীন সীমান্তবর্তী অরুণাচল প্রদেশেও রয়েছে প্রথম দফাতেই ভোট। আজ এই অঞ্চলে তিনটি জনসভায় ভাষণ দেন মোদি।
মোদির দাবি, ‘এই প্রথম পাকিস্তানে ঢুকে জঙ্গিদের শেষ করে এসেছে ভারতীয় সেনা। আর তাতেই ঘুম চলে গিয়েছে কংগ্রেসের। সন্ত্রাসবাদী আর কংগ্রেস মোটেই খুশি নন। কিন্তু দেশের মানুষ খুশি।’

১৪ ফেব্রুয়ারি পুলওয়ামায় সিআরপিএফ গাড়িবহরে আত্মঘাতী হামলায় ৪০ জনের বেশি জওয়ানের মৃত্যু হয়। এর জবাব দিতেই ভারত হামলা চালায়। ওই হামলার পর ভারত দাবি করেছিল, ৩০০ জঙ্গি নিহত হয়েছে। যদিও পাকিস্তান এ দাবি মানেনি।
আজ নরেন্দ্র মোদি তাঁর নির্বাচনী প্রচারে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে দুর্নীতিকেও হাতিয়ার করেন। তিনি বলেন, ‘যেখানেই কংগ্রেস, সেখানেই দুর্নীতি।’
একই সঙ্গে গান্ধী পরিবারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘দেশ নয়, একটি পরিবারের সেবা করাই কংগ্রেসের লক্ষ্য।’ তিনটি জনসভাতেই বিরোধীদের জোটকে কটাক্ষও করেন মোদি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দাবি, উত্তর-পূর্ব ভারত বিজেপির আমলেই সবচেয়ে বেশি উন্নতির মুখ দেখেছে। কংগ্রেস শুধু শোষণই করেছে। তাই বিজেপিকেই ভোট দেওয়ার আরজি জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, উত্তর-পূর্ব ভারতে মোট ২৫টি আসন রয়েছে। গত লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ও কংগ্রেস ৮টি আসন পেয়েছিল। এবার বিজেপি ও তাঁর শরিক দল মিলিয়ে ২৩টি আসন লক্ষ্যমাত্রা করেছে।
তবে কংগ্রেসও দাবি করেছে, নাগরিকত্ব সংশোধনী ও নাগরিকপঞ্জি (এনআরসি) বিতর্কে তাঁরাও ভালো ফল করবে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা তথা অসমের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ এদিন দাবি করেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে মুছে যাবে বিজেপি।
গৌহাটিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় গগৈয়ের অভিযোগ, ‘ভোটে হার নিশ্চিত জেনেই মোদি এখন উত্তর-পূর্ব ভারতে মানুষের মন জয়ের চেষ্টা করছেন। কিন্তু এখানকার মানুষ বিজেপির বিভাজনের রাজনীতির বিরোধী।’