আল-জাজিরায় যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকারদের চরবৃত্তি

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার চেয়ারম্যানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অর্থ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকাররা। ছবি: রয়টার্স
কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার চেয়ারম্যানের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে অর্থ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকাররা। ছবি: রয়টার্স

কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল–জাজিরার চেয়ারম্যান, বৈরুতভিত্তিক বিবিসির সঞ্চালক ও বিশিষ্ট আরব মিডিয়া ব্যক্তিত্বদের ওপর চরবৃত্তিতে আরব আমিরাতকে অর্থ দিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্রের হ্যাকাররা। আজ মঙ্গলবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

২০১৭ সালে কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে সৌদি আরব ও আমিরাতসহ বেশ কয়েকটি দেশ। সে সময়কার উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে এই চরবৃত্তি চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের এই হ্যাকাররা আমিরাতের গোপন ইন্টেলিজেন্স প্রোগ্রাম ‘র‌্যাভেনের’ হয়ে কাজ করে। এই গোয়েন্দা দল মূলত আমিরাতের রাজতন্ত্রের বিরোধী জঙ্গি ও রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ওপর গুপ্তচরবৃত্তি করে। গত জানুয়ারিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক অনুসন্ধানে র‌্যাভেন প্রকল্পের অস্তিত্ব বেরিয়ে আসে। এতে দেখা যায়, ব্রিটিশ অধিকারকর্মী ও মার্কিন সাংবাদিকদের ওপরও গোপন নজরদারি চালায় তারা। র‌্যাভেন প্রকল্পে যুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা ও সেনাবাহিনীর অন্তত ৯ সাবেক কর্মকর্তা।

২০১৭ সালে কাতারের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করার ঘোষণা দেয় সৌদি আরব, মিসর, বাহরাইন ও আমিরাত। পরে লিবিয়া, ইয়েমেন ও মালদ্বীপও কাতারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। সন্ত্রাসে অর্থায়নের অভিযোগ তুলে কাতারের ওপর কঠোর অবরোধ আরোপ করে সৌদি আরবসহ সাত দেশ। কাতারকে ১০ দিনের মধ্যে আল–জাজিরার সম্প্রচার বন্ধসহ ১৩ দফা দাবি পূরণের শর্ত দেয় তারা। কাতার অবশ্য এ ধরনের অভিযোগ শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছে। সেই সময় থেকেই গুপ্তচরবৃত্তি চালিয়ে আসছে র‌্যাভেন।

কাতার সরকার ও মিসরীয় রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের সঙ্গে যোগাযোগ আছে এমন বিশ্বাসে অন্তত ১০ জন সাংবাদিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্বের আইফোন হ্যাক করে র‌্যাভেন। র‌্যাভেনের লক্ষ্য আরব মিডিয়ার ওই সব ব্যক্তিত্ব, যাঁরা রাজনৈতিক চিন্তাধারা বিস্তৃত করছেন।