অস্ত্র জমা না দিলে পাঁচ বছর কারাদণ্ড
নিউজিল্যান্ডের নাগরিকদের সামরিক ধাঁচের আধা স্বয়ংক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র পুলিশের কাছে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে সরকার। এ ধরনের অস্ত্র জমা না দিলে এর মালিককে পাঁচ বছর কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। তারা জানিয়েছে, সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব অস্ত্র জমা দিতে হবে। নতুন আইনে এ বিধান যোগ করা হচ্ছে।
নিউজিল্যান্ডের ভারপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন পিটার্স গতকাল সোমবার বলেছেন, অস্ত্র আইন সংশোধনের বিল ইতিমধ্যে পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার এ নিয়ে আলোচনা হবে। দেশটির পুলিশবিষয়ক মন্ত্রী স্টুয়ার্ট নাশও একই তথ্য জানিয়েছেন।
এদিকে বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, এ ধরনের আইন করার জন্য কয়েক মাস সময় লেগে যায়। তবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন বলেছেন, আইনটি খুব জরুরি। ১১ এপ্রিল নাগাদ এই সংশোধনী পাস হবে। তিনি বর্তমানে চীন সফরে আছেন।
যে বিলটি পার্লামেন্টে আনা হয়েছে, তা পাস হলে নাগরিকদের সামরিক ধাঁচের আধা স্বয়ংক্রিয় ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিষিদ্ধ হবে। তবে এরপরও নিউজিল্যান্ডের কৃষক এবং শিকারিরা যে বন্দুক ব্যবহার করে থাকেন, তা এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকতে পারে। এ ছাড়া পয়েন্ট টু টু আধা স্বয়ংক্রিয় বন্দুক এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকতে পারে।
আইন সংশোধনের যে প্রস্তাব আনা হয়েছে, তাতে শটগান (পাঁচটির বেশি গুলিসহ) এবং আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্রের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, এই অস্ত্র জনসমক্ষে ব্যবহার করলে সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। এ ছাড়া গ্রেপ্তারে বাধা সৃষ্টি করলে ১০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। আধা স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র বিক্রি, সরবরাহ, তৈরি, আমদানি করলে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।
চলতি সপ্তাহে আগ্নেয়াস্ত্রের মালিকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। নিউজিল্যান্ডের অস্ত্র মালিকদের সংগঠন কাউন্সিল অব লাইসেসন্ড ফায়ারআর্ম ওনার্স সরকারের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একমত হয়েছে। গত ১৫ মার্চ ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটির অস্ত্র আইন সংশোধনের সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। ওই হামলায় ৫০ জন নিহত ও ৪২ জন আহত হন।