বাংলায় এনআরসি করতে দেব না: মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গে জাতীয় নাগরিক নিবন্ধন (এনআরসি) করতে দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ বৃহস্পতিবার কোচবিহার জেলার মাথাভাঙ্গায় দলীয় নির্বাচনী সভায় তিনি এই কথা বলেন।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই এনআরসির নামে আসামে ২২ লাখ মুসলিম এবং ২৩ লাখ বাঙালি হিন্দুকে নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। আমরা সেই এনআরসি এই রাজ্যে কার্যকর করতে দেব না। রুখবই।’

বিজেপিকে একহাত নিয়ে মমতা বলেছেন, ‘পাহাড়ে (দার্জিলিং) আগুন লাগিয়েছে বিজেপি। বাংলার সঙ্গে পাহাড়ের ঝগড়া বাধিয়েছে বিজেপি। আমরা সেই বিজেপিকে এবার আর পাহাড়ে ঠাঁই দেব না। নোট বাতিল, জিএসটি চালু করে আমাদের চরম ভোগান্তিতে ফেলেছে মোদি। এর জবাব দিন আপনারা এবারের নির্বাচনে।’

ভাষণে মমতা আরও বলেন, ‘ব্যাংকে আর আপনাদের টাকা থাকবে না। আপনারা কষ্ট করে ব্যাংকে টাকা রাখছেন, সেই টাকা থেকে আপনি কত টাকা তুলবেন, তা বলে দেবেন মোদি। এটা কি মানা যায়? মোদি মানুষকে হয়রানি করার জন্য আজ সিবিআই, ইডি আর আয়কর দপ্তরকে দিয়ে ভয় দেখাচ্ছে। এতে ভীত নয় বাংলার মানুষ।’

মমতা প্রশ্ন করেন, ‘কেন গোরক্ষার নামে মানুষ হত্যা করা হচ্ছে? খুন করা হচ্ছে? জবাব দিন, মোদিবাবু। এই বাংলার মানুষ সচেতন। তারা সাম্প্রদায়িকতায় বিশ্বাসী নয়। এ বাংলা সম্প্রীতির বন্ধনের এক রাজ্য। এই রাজ্যে কোনোক্রমে বিজেপিকে অশান্তি করতে দেওয়া হবে না। রুখবে বাংলার মানুষ। এবার সময় এসেছে মোদিকে হটানোর।’ এ সময় তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শরীরে রক্ত লেগে আছে। গোটা দেশে ১২ হাজার কৃষক ঋণের দায়ে আত্মহত্যা করেছেন। বেকারদেরও চাকরি হচ্ছে না। কৃষকেরা ফসলের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি।

মমতা মোদির প্রতি প্রশ্ন ছুড়ে বলেন, ‘কী করে জিতবেন আপনি? আপনার তো মেয়াদ শেষ। আপনি এক্সপিয়ারি প্রধানমন্ত্রী। এবার জবাব পেয়ে যাবেন। আগামী ২৩ মে দেশবাসী জবাব দেবে আপনাকে। আর ফিরতে পারবেন না। আপনার দিন শেষ।’

এর আগে গতকাল বুধবার মমতা কোচবিহারের দিনহাটায় এক জনসভায়ও একহাত নেন মোদিকে। সেখানেও তিনি শুনিয়ে দেন মোদির দিন শেষের কথা। আর ক্ষমতায় না ফেরার কথা। ২০১৯, বিজেপি ফিনিস।