'১২ মাসের নমনীয়' সময়ের দিকে যেতে পারে ব্রেক্সিট

ডোনাল্ড টাস্ক ও থেরেসা মে। ছবি: রয়টার্স
ডোনাল্ড টাস্ক ও থেরেসা মে। ছবি: রয়টার্স

ইউরোপীয় ইউনিয়ন কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক ব্রেক্সিটের জন্য যুক্তরাজ্যকে ‘১২ মাসের নমনীয়’ সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে পারেন। ইইউর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আজ শুক্রবার এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি অনলাইন।

ডোনাল্ড টাস্কের পরিকল্পনা হচ্ছে, এই সময়ের মধ্যে পার্লামেন্ট যদি কোনো চুক্তিতে অনুমোদন দেয়, তাহলে যুক্তরাজ্যকে চলে যেতে দেওয়া হবে। তবে টাস্কের এই সিদ্ধান্ত অনুমোদনে ইইউর নেতাদের সম্মতি লাগবে। আগামী সপ্তাহে ইইউ নেতাদের বৈঠক হওয়ার কথা।

যুক্তরাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল জিওফ্রে কক্স বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, তাঁরা যদি চুক্তিতে যেতে ব্যর্থ হন, তবে বিলম্বের বিষয়টি আরও দীর্ঘ হতে পারে।

গত ২৯ মার্চ বিচ্ছেদ কার্যকরের কথা ছিল। ব্রিটিশ রাজনীতিকদের অনৈক্যের কারণে তা হয়নি। দিনটি পিছিয়ে এখন ১২ এপ্রিল নির্ধারিত রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন ডাউনিং স্ট্রিট থেকে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার কনজারভেটিভ ও লেবার পার্টির মধ্যে যে কৌশলগত আলোচনা হয়েছে, তা ফলপ্রসূ ছিল। আজ শুক্রবার পর্যন্ত এ আলোচনা চলবে।

এর আগে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, ব্রেক্সিট কার্যকরের তারিখ আবারও পেছানোর প্রয়োজন হবে, যদি যুক্তরাজ্য কোনো চুক্তি ছাড়া ইইউ থেকে বিচ্ছেদ না চায়। ইইউ নেতা ও ব্রিটিশ এমপি—দুই দলই বিশ্বাস করে কোনো চুক্তি ছাড়া ব্রেক্সিট চুক্তি তাঁদের ব্যবসা ও বন্দরে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে। যা–ই হোক, এমপিরা ব্রেক্সিটের জন্য খুব বেশি দেরি করতে চাইছেন না।

এদিকে থেরেসা মেও লেবার পার্টির জেরেমি করবিনের সঙ্গে একটি প্রস্তাবে সম্মত হতে চাচ্ছেন। যাতে ১০ এপ্রিলের মধ্যে এমপিরা সমর্থন দেবেন।

তবে সংকট সমাধানে প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে ও বিরোধীদলীয় নেতার বৈঠকের সিদ্ধান্তে দলগুলোর গৃহবিবাদ আরও চড়াও হয়েছে।

করবিনের সঙ্গে আলোচনার প্রতিবাদে গত বুধবার ওয়েলস-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী নাইজেল অ্যাডামসের পর ব্রেক্সিট-বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ক্রিস হিটন-হ্যারিস পদত্যাগ করেন। পার্লামেন্টে সরকারদলীয় বেশ কয়েকজন আইনপ্রণেতা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, যেই করবিনকে দেশ চালানোর অযোগ্য বলে ভর্ৎসনা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী, তাঁকে কী করে এখন ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের যোগ্য মনে করলেন? দ্য সানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করবিনের চাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী ছাড় দিলে অন্তত ১৫ জন মন্ত্রী পদত্যাগ করবেন, যাঁরা ব্রেক্সিটপন্থী।