লিবিয়ার সংঘর্ষে এবার বিমান হামলা

লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণাংশে বিমান হামলা চালিয়েছে লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের সেনাবাহিনী। গতকাল রোববার এই হামলা চালানো হয়। স্থানীয় বাসিন্দাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, একটি বিমানকে হামলা চালাতে দেখেছেন তিনি।

এলএনএর মুখপাত্র আহমেদ মিসমারি বলেন, সামরিক অভিযানে প্রথমবারের মতো বিমানবাহিনী অংশ নিয়েছে। ত্রিপোলির কেন্দ্রে বিমানবন্দর সড়ক নিরাপদ করতে খুবই সফল অভিযান পরিচালনা করেছে।

লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের খলিফা হাফতারের লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি বাহিনী (এলএনএ) পূর্বের প্রশাসনকে সমর্থন করছে। তারা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত লিবিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। গত সপ্তাহ থেকে পশ্চিমে ত্রিপোলির দিকে অগ্রসর হচ্ছে তারা।

২০১১ সালে মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে ক্ষমতাচ্যুত করে হত্যার পর দেশটির বাসিন্দারা সরকার ও সরকারের সমান্তরালভাবে চলা পূর্বভিত্তিক এলএনএ বাহিনীর মধ্যে ক্ষমতা দখলের লড়াই দেখে আসছে। গত শুক্রবার ত্রিপোলির আগের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হাফতারের এলএনএ ওই দিন শেষ রাতের দিকে সেখানের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এলএনএর মুখপাত্র ও সেখানকার বাসিন্দারা এ তথ্য জানান। সরকারি বাহিনীর দাবি, আগের ওই বিমানবন্দর তারা আবার দখলে নিয়েছে।

জাতিসংঘ–সমর্থিত লিবিয়ার প্রেসিডেন্সি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ও দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ মুস্তফা আল সেরাজ (৫৯) ও হাফতারের মধ্যে সমঝোতা চেষ্টা করেছিল জাতিসংঘসহ পশ্চিমা দেশগুলো। তাঁরা দুজন গত মাসে দুবাইয়ে এক বৈঠকে ক্ষমতা ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। হাফতারের প্রতি মিসর ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের সমর্থন রয়েছে। জাতিসংঘের তথ্য অনুসারে, দেশ দুটি থেকে সামরিক সহায়তা পেয়ে থাকেন হাফতার।

সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা হাফতারের বাহনীকে সাহায্য করছে না এবং ওই অঞ্চলে নতুন রক্তপাত এড়াতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার প্রতি সমর্থন রয়েছে তাদের। নতুন সংঘাতের ঘটনায় লিবিয়ার সঙ্গে সীমান্তজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে তিউনিসিয়া।