লিবিয়ায় সংঘর্ষে নিহত ৩৫, এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন ২৮০০

লিবিয়ায় গত বৃহস্পতিবার থেকে জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ চলছে হাফাতের বাহিনীর। এ সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত অন্তত ৩৫ জন নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও ২৭ জন। এ ছাড়া সংঘর্ষের কারণে এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন অন্তত ২ হাজার ৮০০ মানুষ। বার্তা সংস্থা এএফপি এক প্রতিবেদনে জাতিসংঘের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে।

অপর দিকে বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত লোকজনের মধ্যে আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রেড ক্রিসেন্টের একজন চিকিৎসক ছিলেন।

জাতিসংঘের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব অগ্রাহ্য করে গত বৃহস্পতিবার লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলের মিলিশিয়াদের নেতা জেনারেল খলিফা হিফতার তাঁর বাহিনীকে রাজধানী ত্রিপোলিতে অগ্রসর হওয়ার আদেশ দেন। এরপরে তাদের সঙ্গে সংঘর্ষে হয় জাতিসংঘ-সমর্থিত সরকারি বাহিনীর সঙ্গে। প্রধানমন্ত্রী ফায়েজ আল-সাররাজ এই সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

তেলসমৃদ্ধ লিবিয়ায় ক্ষমতার লড়াই শুরু হয় ২০১১ সালে। সে সময় ন্যাটো-সমর্থিত বাহিনী মুয়াম্মার গাদ্দাফিকে উৎখাত করে। এরপর গাদ্দাফির সেনাবাহিনীর সাবেক প্রধান হাফাত লিবিয়ার পূর্বাঞ্চলে লিবিয়ান ন্যাশনাল আর্মি (এলএনএ) নামে নিজস্ব সেনাবাহিনী গঠন করেন। এই সেনাবাহিনীর সহযোগিতায় তিনি পূর্বাঞ্চলের অধিকাংশ জায়গা দখল করেন।

রোববার দিবাগত রাতে হাফাতের বাহিনীর লড়াই স্থগিত থাকলেও আজ সোমবার সকালে সেটা আবার শুরু হয়। এ সময় লিবিয়ার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণে ৩০ কিলোমিটার দূরে রাজধানীর বিধ্বস্ত বিমানবন্দরকে কেন্দ্র করে লড়তে শুরু হয়।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ জেনারেল হাফাতকে যুদ্ধ বন্ধের অনুরোধ জানিয়েছেন।

এ ছাড়া জাতিসংঘ ওই অঞ্চলের বেসামরিক নাগরিকদের উদ্ধারে জন্য হাফাতের বাহিনীকে দুই ঘণ্টা যুদ্ধবিরতির অনুরোধ করে। তবে যুদ্ধ চলমান রয়েছে।

তবে জাতিসংঘের একজন মুখপাত্র এএফপিকে বলেছেন, তাঁরা এখনো ইতিবাচক অগ্রগতির আশা করছেন।

সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত আরব আমিরাতও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাশিয়া জানিয়েছে, তারা হাফতারের বাহিনীকে সাহায্য করছে না এবং ওই অঞ্চলে নতুন রক্তপাত এড়াতে একটি রাজনৈতিক সমঝোতার প্রতি সমর্থন রয়েছে তাদের। নতুন সংঘাতের ঘটনায় লিবিয়ার সঙ্গে সীমান্তজুড়ে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে তিউনিসিয়া।