মাথায় ডিম: সিনেটরকে অব্যাহতি, তরুণকে সতর্ক

অস্ট্রেলিয়ার অতি ডানপন্থী সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের মাথায় গত মাসে ডিম ভাঙেন এক তরুণ।
অস্ট্রেলিয়ার অতি ডানপন্থী সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিংয়ের মাথায় গত মাসে ডিম ভাঙেন এক তরুণ।

মাথায় ডিম ভাঙার জেরে আত্মরক্ষার্থে তরুণকে মারধর করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সিনেটর ফ্রেজার অ্যানিং। এই মর্মে দেশটির পুলিশ সিনেটর ফ্রেজারকে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে। আর তরুণকে সতর্ক করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিবিসি অনলাইনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

গত মাসে নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলা বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ার অতি ডানপন্থী সিনেটর ফ্রেজার মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্য করেছিলেন। মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর মাথায় ডিম ভাঙেন এক তরুণ। তাৎক্ষণিকভাবে ওই তরুণকে একাধিক চড়থাপ্পড় ও কিলঘুষি মারেন সিনেটর ফ্রেজার। পরে এক নিরাপত্তা কর্মকর্তা ফ্রেজারকে সরিয়ে নেন।

ঘটনাটির ভিডিও ভাইরাল হয়। এ ঘটনায় সিনেটর ফ্রেজার নাকি তরুণ—কার শাস্তি হওয়া উচিত, তা নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় বিতর্ক শুরু হয়।

সিনেটর ফ্রেজারের করা মুসলিমবিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য গত সপ্তাহে তিনি সিনেটে সমালোচিত হন।

ঘটনার বিষয়ে করণীয় নিয়ে আজ দেশটির পুলিশ সিদ্ধান্ত দেয়। তারা জানায়, সিনেটর ফ্রেজার ও তরুণ—দুজনের কারও বিরুদ্ধেই অভিযোগ আনা হবে না।

পুলিশ জানায়, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে সিনেটর ফ্রেজারের আচরণকে আত্মরক্ষামূলক হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ আনার কোনো যুক্ত পাওয়া যায়নি।

তবে ১৭ বছর বয়সী তরুণকে পুলিশ আনুষ্ঠানিকভাবে সতর্ক করে দিয়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার কুইন্সল্যান্ড অঙ্গরাজ্যের সিনেটের ফ্রেজার। ক্রাইস্টচার্চে সন্ত্রাসী হামলার পর তিনি একটি বিবৃতি দেন। এতে বলেন, বামপন্থী রাজনীতিক ও গণমাধ্যম ক্রাইস্টচার্চের হামলার জন্য আগ্নেয়াস্ত্র আইন বা জাতীয়তাবাদী চিন্তাভাবনাকে দোষারোপ করবেন। তবে এটি খুবই গতানুগতিক চিন্তা। ক্রাইস্টচার্চ হামলার পেছনে দায়ী মূলত মুসলিম অভিবাসন।

সঙ্গে সঙ্গে নিন্দার ঝড় বয়ে যায় সারা বিশ্বে। এই মন্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে মেলবোর্নের মুরাবিন আবাসিক এলাকা সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় এক তরুণ ফ্রেজারের মাথায় একটি ডিম ভাঙেন। এ সময় গণমাধ্যমের ক্যামেরা চলছিল এবং ওই তরুণ নিজেও এই কাজ করার আগে তাঁর ক্যামেরার ভিডিও রেকর্ডিং চালু করেন।

ঘটনার পর কেউ কেউ ওই তরুণের সমালোচনা করেন। তবে সে অনলাইনে হিরো বনে যায়। তার নাম হয়ে যায় ‘এগ বয়’।