মোদি সরকার গড়তে পারছেন না :মমতা

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রয়টার্স ফাইল ছবি

পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, এবারের নির্বাচন হচ্ছে দিল্লির শাসনপাট থেকে বিজেপিকে হটিয়ে নতুন সরকার গঠন করা। এবার দিল্লিতে সরকার হবে মা-মাটি-মানুষের। তৃণমূলের সমর্থন ছাড়া এবার আর দিল্লিতে সরকার গঠিত হবে না। মোদিও সরকার গড়তে পারছেন না।

পশ্চিমবঙ্গের রায়গঞ্জে তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে এসে জনসভায় আজ মঙ্গলবার এ কথা বলেন মমতা। এই আসনের ইসলামপুরে ছিল আজকের জনসভা।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘বিজেপি আমাদের দেশকে ডুবিয়েছে। আমাদের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। মানুষ তাড়াচ্ছে। ধর্মান্ধতার উসকানি দিচ্ছে। তাই আর নয় বিজেপির সরকার। তাই তো বলি বিজেপি হলো বাঙালি, বিহারি খেদাও পার্টি। আমরা এ দেশে বিজেপিস্থান চাই না। দেশে তো এখন মোদি মহাভারতের সেই দুর্যোদন-দুঃশাসনের রাজত্ব চালাচ্ছে। আমরা এই রাজত্বের অবসান ঘটাব। দিল্লিতে গড়ব মা-মাটি-মানুষের সরকার। জণগণের সরকার।’
মমতা আজও হুংকার দিয়ে বলেছেন, ‘আমরা এবার এই রাজ্যের ৪২ আসনেই জিতব। বিদায় দেব চোর চৌকিদারের শাসন।’ মমতা বলেন, ‘সবাই ভয় পায় বিজেপিকে। আমি ভয় পাই না। ভয় পাই না বন্দুককেও। আমি অনেকবার পড়েছি বন্দুকের মুখে। আমাকে দমাতে পারেনি। পারবেও না।’
মমতা বলেন, ‘এই রায়গঞ্জ আসনে এবার জিতবে তৃণমূল প্রার্থী। কংগ্রেস এবং সিপিএম প্রার্থী হারবেন।’

রায়গঞ্জ আসনে তৃণমূল প্রার্থী সাবেক কংগ্রেস বিধায়ক কানাইয়ালাল আগরওয়াল কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটও বাগিয়ে নেন এবার। এই আসনে সিপিএম প্রার্থী হলেন বিদায়ী সাংসদ মহম্মদ সেলিম আর কংগ্রেসের প্রার্থী হলেন সাবেক সাংসদ দীপা দাসমুন্সী। আর বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন দেবশ্রী চৌধুরী।

মমতা বলেন, ‘গত ৫ বছর মোদি কোনো কাজ করেনি। দীর্ঘ সাড়ে ৪ বছর বিদেশ ঘুরে শুধু ফূর্তি করেছে। মানুষ আর এই চোর চৌকিদারকে ভোট দেবে না।’ বলেন, এই চৌকিদারের আমলে সবচেয়ে বেশি জঙ্গি হামলা হয়েছে। বলেন, এখন এই ভোট মৌসুমে হাজির হয়েছে কোকিলরা। এবার তাদের তাড়িয়ে দেবে মানুষ। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘দীর্ঘ ৫ বছরে মোদি রামমন্দির গড়তে পারেননি। এবার ভোট আসায় এখন রামমন্দির গড়ার ধুয়ো তুলেছেন। বলছি, এই মোদি এবার আর জিততে পারবেন না বারানসী আসনে। হারবেনই।’
মমতা বলেন, ‘বাংলায় একদল সকালে কংগ্রেস, দুপুরে সিপিএম আর রাতে বিজেপি হয়। এই তিন দল এখন হয়ে গেছে তিন ভাই। এই তিন ভাইকে এবার দেশ থেকে হটাতে হবে।’

১১ এপ্রিল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ভারতের লোকসভার ৫৪৩ আসনের ৭ দফার নির্বাচন। এর মধ্যে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গের ৪২ আসনও। আজ প্রথম দফার নির্বাচন প্রচার শেষ হচ্ছে। দ্বিতীয় দফার নির্বাচন হবে ১৮ এপ্রিল। ওই দিন উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ, জলপাইগুড়ি এবং দার্জিলিং আসনের নির্বাচন হবে।