অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় নির্বাচন ১৮ মে

নানান রাজনৈতিক নাটকীয়তার পর অবশেষে ঘোষিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ৪৬তম জাতীয় নির্বাচনের তারিখ। আগামী ১৮ মে নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।
নানান রাজনৈতিক নাটকীয়তার পর অবশেষে ঘোষিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ৪৬তম জাতীয় নির্বাচনের তারিখ। আগামী ১৮ মে নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

নানান রাজনৈতিক নাটকীয়তার পর অবশেষে ঘোষিত হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার ৪৬তম জাতীয় নির্বাচনের তারিখ। আগামী ১৮ মে নির্বাচন হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন আয়োজনের অনুমতি চাইতে দেশটির গভর্নর জেনারেল পিটার কসগ্রোভের সঙ্গে তাঁর সরকারি বাসভবনে দেখা করেন। এরপর গভর্নর জেনারেল স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে আটটায় ৪৫তম জাতীয় সংসদের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন। প্রধানমন্ত্রী মরিসন এক সংবাদ সম্মেলনে ভোটারদের কাছে স্বচ্ছ পছন্দের দল রয়েছে বলে মন্তব্য করেন। অন্যদিকে, বিরোধী দল লেবার পার্টির প্রধান নেতা বিল শর্টেন বলেন, অস্ট্রেলিয়া একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আশা করে।

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। তিনি বলেন, ‘ভোটারদের কাছে স্বচ্ছ পছন্দ রয়েছে। মরিসন জানান, ২০১৩ সালে পরাজিত সরকারের ফেলে যাওয়া অর্থনৈতিক অবস্থার পুনর্বাসন করতে লিবারলের জোট সরকারের পাঁচ বছর সময় লেগেছে। অর্থনীতিকে দেশের প্রধান ভিত্তি দাবি করে মরিসন বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতিকে শক্তিশালী রাখার মাধ্যমে আমরা আপনার এবং আপনার পরিবারের ভবিষ্যৎ নিরাপদ করে তুলেছি। ফলে, আমরা নিশ্চিত করতে পেরেছি, আপনি বেতন পাচ্ছেন, চাকরি পাচ্ছেন, আপনার ব্যবসা চালু রয়েছে।’

এদিকে, দেশের বিরোধী দল লেবার পার্টি নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত বলে টুইটবার্তায় জানান দলটির প্রধান বিল শর্টেন। মেলবোর্নে এক সংবাদ সম্মেলনে কেন লেবারকে ভোট দেওয়া উচিত, এ কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা আরও বেশি কর্মসংস্থান তৈরি করতে কাজ করব। আরও ভালো চিকিৎসা ও শিক্ষাব্যবস্থা তৈরি করব। আমরা মনোযোগ দেব জলবায়ু পরিবর্তন ও পুনর্ব্যবহারযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে, যেন বিদ্যুতের দাম কমে।’ তিনি আরও বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ানদের সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্যয়বহুল সাধারণ জীবনযাপন। এটা সমাধানের কথা আমরা প্রথম ভাবব। কর্মরত মধ্যবিত্ত পরিবারের কথা মাথায় রেখে আমরা নতুন অর্থনীতি পরিকল্পনা করব।’

নির্বাচনে ২৩ এপ্রিলের মধ্যে প্রতিটি দল তাদের প্রার্থী মনোনীত করবে। নির্বাচন–পরবর্তী সব আনুষ্ঠানিকতা আগামী ২৮ জুনের মধ্যে শেষ হবে। নতুন সরকার অস্ট্রেলিয়া পরিচালনার ক্ষমতায় আসবে আগামী ১ জুলাই থেকে।