এক শিশুর শরীরে দুই মায়ের জিন

মায়ের কোল আলো করে এসেছে সন্তান। কিন্তু সে তো শুধু এই মায়ের একার নয়। তার ওপর দাবি আছে আরও এক নারীর। তাঁর জিনও আছে এই শিশুর শরীরে। এমনভাবে এক শিশুর জন্ম দিয়ে নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করেছেন গ্রিস ও স্পেনের একদল বিজ্ঞানী।

গ্রিসের রাজধানী এথেন্সে বিশেষায়িত ক্লিনিক ইনস্টিটিউট অব লাইফে গত মঙ্গলবার ছেলেশিশুটির জন্ম হয়। গবেষকেরা জানিয়েছেন, গ্রিসের ৩২ বছর বয়সী এক নারী কোনোভাবেই মা হতে পারছিলেন না। টেস্টটিউব পদ্ধতিতেও তিনি চার দফায় চেষ্টা করেন। কিন্তু সফল হতে পারেননি। মা হতে তাঁকে সহযোগিতা করার জন্য গবেষকেরা নতুন কৌশল অবলম্বন করেন। ওই নারীর সমস্যা ছিল কোষের মাইটোকন্ড্রিয়ায়। এ ধরনের সমস্যায় মায়ের গর্ভেই সন্তান প্রাণঘাতী ওই মাইটোকন্ড্রিয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়। এ বাধা এড়ানোর জন্য গবেষকেরা প্রথমে মায়ের ডিম্বাণুর নিউক্লিয়াসদাতা নারীর ডিম্বাণুতে স্থাপন করেন। পরে তা বাবার শুক্রাণু দিয়ে নিষিক্ত করা হয়। এরপর নিষিক্ত ভ্রূণটি মায়ের গর্ভে স্থাপন করেন।

গবেষণার নেতৃত্বে ছিলেন নুনো কস্টা-বোরহেস। তিনি বলেন, তাঁদের কৌশলে জন্ম নেওয়া শিশুর জিনের ৯৯ শতাংশই এসেছে তার মা-বাবা থেকে। ১ শতাংশ জিন এসেছে দাতা নারীর দেহ থেকে।

তবে গবেষকদের এই কৌশল নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিতর্ক রয়েছে। যুক্তরাজ্যের কয়েকজন বিশেষজ্ঞ তো এ গবেষণা নিয়ে নৈতিকতার প্রশ্নও তুলেছেন। তাঁদের মতে, এ নিয়ে গবেষণা হওয়াই উচিত নয়।