ভোট দিলে মিলবে স্যানিটারি ন্যাপকিন

ভোট দিলেই মিলবে স্যানিটারি ন্যাপকিন। মিলতে পারে হিন্দুদের শাঁখা-পলা, মুসলিমদের শীতলপাটিও। শুধু তা–ই নয়, থাকছে সোনার গয়নাতেও ছাড়। যাঁকে খুশি ভোট দিন। হাতে কালির দাগ থাকলেই চলবে।

ভোটারদের সহযোগিতা করাই এই নারীর যেন ব্রত। ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসের ক্যাডার অফিসার কীর্তি জালির ‘কীর্তি’ আগেই স্বীকৃতি পেয়েছে। ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়ের হাত থেকে পেয়েছেন বিশেষ সম্মাননা।

বর্তমানে আসামের হাইলাকান্দির জেলা শাসক কীর্তি আরেক কীর্তি স্থাপন করতে চলেছেন। আগামী বৃহস্পতিবার আসামের করিমগঞ্জ আসনের অন্তর্গত হাইলাকান্দি জেলাতেও হতে চলেছে গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় ভোট উৎসব।

বর্তমানে হাইলাকান্দির জেলা শাসক কীর্তি জালি। তাঁর চেষ্টা এই নির্বাচনকে শুধু অবাধ বা শান্তিপূর্ণ রাখাই নয়, সবার অংশগ্রহণে নির্বাচনকে সর্বজনীন করে তোলা।

ভোটারদের আকৃষ্ট করতে তাই অবিরাম প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছেন হাইলাকান্দির এই নারী জেলা শাসক। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনকে আবেদন করেছেন ভোটারদের বুথমুখী করতে প্রয়াসী হতে।

কীর্তি জালির ডাকে সাড়া দিয়ে হাইলাকান্দি জেলার স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ভোট দেওয়ার চিহ্ন হিসেবে আঙুলে যে কালির দাগ লাগানো হয়, সেটা দেখালেই মিলবে সোনার গয়নার মজুরিতে ১৫ শতাংশ ছাড়।

প্রশাসনের তরফে নারীদের স্যানিটারি ন্যাপকিনও বিলি করা হবে। এমনকি, হিন্দুদের শাঁখা-পলা দেওয়া হচ্ছে ভোটদানে উৎসাহিত করতে। থাকছে গরমের দিনে শীতলপাটি উপহার।

কীর্তি জালি নিজেই বাড়ি বাড়ি ঘুরে প্রচার করেছেন ভোটের। না, কোনো দলের হয়ে নয়। তাঁর কথা, ‘যাঁকে খুশি ভোট দিন। কিন্তু ভোটটা দিন। ভোটদান জরুরি।’

শুধু তা–ই নয়, হাইলাকান্দিতে মুসলিম–অধ্যুষিত এলাকায় আটটি বুথ করা হয়েছে শুধু নারীদের জন্য। বুথ পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বেও থাকছেন নারীরাই।

কীর্তি জালি জানিয়েছেন, ভোটারদের সংস্কারের কথা মাথায় রেখেই এই বন্দোবস্ত। তাঁর মতে, গণতন্ত্রের জন্যই সবার অংশগ্রহণ সবচেয়ে জরুরি। তাই তিনি গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসবে শামিল করতে চান সবাইকে।