যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাবেন অ্যাসাঞ্জ

উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: রয়টার্স
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। ছবি: রয়টার্স

সুইডেনে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা পুনঃ তদন্ত শুরু হলে তাতে সহযোগিতা করবেন উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। তবে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে অ্যাসাঞ্জকে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন কর্তৃপক্ষের যেকোনো প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবেন তিনি। অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী গত রোববার এ তথ্য জানিয়েছেন।

ইকুয়েডর অভিযোগ করেছে, যুক্তরাজ্যের লন্ডনে দেশটির দূতাবাসে অবস্থানকালে অ্যাসাঞ্জ বারবার শর্ত ভঙ্গ করেছেন এবং গুপ্তচরবৃত্তির চেষ্টা চালিয়েছেন। এদিকে অ্যাসাঞ্জের বাবা অস্ট্রেলিয়া কর্তৃপক্ষের প্রতি তাঁর ছেলেকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী জেনিফার রবিনসন সুইডেনে তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ সম্পর্কে স্কাই নিউজকে বলেন, ‘আমরা ওই সব
প্রশ্নের উত্তর দিতে প্রস্তুত। তবে এখন মূল চিন্তা হলো মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে অ্যাসাঞ্জকে তুলে দেওয়ার বিষয়টি নিয়ে।’

গত বৃহস্পতিবার লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে ঢুকে অ্যাসাঞ্জকে গ্রেপ্তার করে যুক্তরাজ্যের পুলিশ। ২০১২ সালে ব্রিটিশ আদালত থেকে জামিন পাওয়ার পর থেকে পরবর্তী প্রায় সাত বছর ওই দূতাবাসেই তিনি অবস্থান করেছেন। গ্রেপ্তারের পর আদালতে হাজির করার পর তাঁকে জামিনের শর্ত ভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত করেন বিচারক। আগামী ২ মে অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে মার্কিন কর্তৃপক্ষের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হবে।

অ্যাসাঞ্জের আইনজীবী রবিনসন বলেন, তাঁর মক্কেল আইনের ঊর্ধ্বে নন। যুক্তরাজ্যে বা সুইডেনে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ রয়েছে, তা নিয়ে তিনি চিন্তিতও নন। তবে যুক্তরাষ্ট্রে তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ, তা সব সময়ই মাথাব্যথার কারণ। তাঁকে মার্কিন কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দিলে তিনি অন্যায়ের শিকার হবেন। অ্যাসাঞ্জ এর বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখবেন বলেও জানান রবিনসন।

এদিকে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট লেনিন মরেনো যুক্তরাজ্যের সংবাদপত্র গার্ডিয়ানকে বলেছেন, ‘আমরা আমাদের ঘরকে, যে ঘরের দরজা খোলা ছিল, তাকে গুপ্তচরবৃত্তির কেন্দ্রে পরিণত হতে দিতে পারি না।’ ইকুয়েডরের অভিযোগ, অ্যাসাঞ্জ প্রেসিডেন্ট মরেনোর ব্যক্তিগত জীবনের তথ্য ফাঁস করে দিয়েছেন।

তবে অ্যাসাঞ্জের সমর্থকদের অভিযোগ, যুক্তরাষ্ট্রের নির্দেশে ইকুয়েডর তাঁর সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।