বাংলাদেশি নারী কর্মীর সংখ্যা বাড়ছে

কাতারে চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে বাংলাদেশি নারী কর্মী আসার সংখ্যা গত বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে কাতারে বাংলাদেশি নারী কর্মী এসেছেন ৩৬৯ জন। আর ফেব্রুয়ারি মাসে এসেছেন ৩৫১ জন। আর গত বছরের এই দুই মাসে কাতারে এসেছিলেন যথাক্রমে ২৮৯ এবং ২৬৯ জন নারী কর্মী। কাতারে ২০১৮ সালে আগত নারী কর্মীর সংখ্যা ছিল তিন হাজার ১৯৬ জন। সব মিলিয়ে কাতারে বর্তমানে ২৭ থেকে ২৮ হাজার বাংলাদেশি নারী কর্মী কর্মরত রয়েছেন।

প্রথম দুই মাসে এই সংখ্যা বাড়ার কারণ প্রসঙ্গে কাতারস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম শাখার কাউন্সেলর রবিউল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে কাতারে বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীর চাহিদা বাড়ছে। চলতি মাসে এ সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আমরা আশা করছি।’

রবিউল ইসলাম বলেন, কাতারে আগত বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীদের মধ্যে শতকরা ৯০ ভাগ বিভিন্ন বাসাবাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করছেন। বাকি ১০ ভাগ ক্লিনিং, সেলস ও রিসিপশন খাতে কর্মরত রয়েছেন।
প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, চলতি বছরের প্রথম দুই মাস জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতে সবচেয়ে বেশি নারী কর্মী গেছেন সৌদি আরবে। দেশটিতে জানুয়ারি মাসে সাত হাজার ৮৮৩ জন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ছয় হাজার ৫১১ জন নারী কর্মী গেছেন। তবে এ সংখ্যা গত বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসের তুলনায় কম। ২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে সৌদি আরবে নয় হাজার ১৭২ জন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে সাত হাজার ৪৫২ জন নারী কর্মী গিয়েছিলেন।

আর অন্যান্য দেশের মধ্যে আরব আমিরাতে জানুয়ারি মাসে ২৯৯ জন ও ফেব্রুয়ারি মাসে ২৩৭ জন, কুয়েতে জানুয়ারি মাসে মাত্র দুজন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৭ জন, ওমানে জানুয়ারি মাসে এক হাজার ৩৩৮ জন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৫৩ জন নারী কর্মী গেছেন। উপসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলোর মধ্যে বাহরাইনে কোনো নারী কর্মী যাননি চলতি বছরের প্রথম দুই মাসে। এ ছাড়া মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের মধ্যে লেবাননে জানুয়ারি মাসে ১৬২ ও ফেব্রুয়ারি মাসে ৯৩ জন নারী কর্মী গেছেন। জর্ডানে জানুয়ারি মাসে এক হাজার ৪৯৪ জন এবং ফেব্রুয়ারি মাসে এক হাজার ৪৫৬ জন নারী কর্মী গেছেন। বর্তমানে আরও যেসব দেশে বাংলাদেশি নারী কর্মী যাচ্ছেন, সেসব দেশের তালিকায় রয়েছে মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, সাইপ্রাস, ব্রুনাই, মরিশাস ইত্যাদি।

মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশের তুলনায় কাতারে বাংলাদেশি নারী গৃহকর্মীরা তুলনামূলক ভালো ও নিরাপদ অবস্থানে রয়েছেন।