সম্রাট আকিহিতোর বিদায়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

জাপানের সম্রাট আকিহিতো (এএফপির ফাইল ছবি)
জাপানের সম্রাট আকিহিতো (এএফপির ফাইল ছবি)

জাপানের সম্রাট আকিহিতো (৮৫) ৩০ এপ্রিল সিংহাসন ত্যাগ করবেন—এ কথা এখন সবার জানা। ১ মে তাঁর বড় ছেলে যুবরাজ নারুহিতো (৫৯) সিংহাসনে অধিষ্ঠিত হবেন। ওই দিন থেকে শুরু হবে জাপানের নতুন যুগ ‘রেইওয়া’। প্রথা অনুসারে জাপানের সম্রাট আমৃত্যু সিংহাসনে থাকেন। গত দুই শতাব্দীর মধ্যে আকিহিতোই প্রথম কোনো সম্রাট, যিনি অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে জীবিত অবস্থায় সিংহাসন ত্যাগ করছেন। তাঁর সিংহাসন ত্যাগের আনুষ্ঠানিকতা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে।

সিংহাসন ত্যাগ করার আগে কিছু আচার-অনুষ্ঠান পালন করতে হবে বিদায়ী সম্রাটকে। এর মধ্যে একটি যেমন, শিনতো ধর্মের সূর্যের দেবী আমাতেরাস-ওমিকামির মন্দিরে পূজা দেওয়া। ইসে গ্র্যান্ড নামের মন্দিরটি সেন্ট্রাল জাপানে ইসে শহরে অবস্থিত। শিনতো ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র তীর্থস্থান বিবেচনা করা হয় এই মন্দিরকে। পৌরাণিক বিশ্বাসমতে, জাপানের সম্রাটেরা ওই সূর্যদেবীরই উত্তরসূরি।
গতকাল বুধবার সম্রাট আকিহিতো ও তাঁর স্ত্রী সম্রাজ্ঞী মিচিকো তিন দিনের তীর্থযাত্রায় ইসে গ্র্যান্ড মন্দিরে গেছেন। প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে টোকিও রেলওয়ে স্টেশনে উপস্থিত থেকে তাঁদের বিদায় জানান। এই তীর্থযাত্রায় সম্রাট ও সম্রাজ্ঞী সবচেয়ে পবিত্র মূল্যবান তিনটি বস্তু সঙ্গে নিয়েছেন। এগুলো হলো পৌরাণিক বিশ্বাসসংবলিত একটি তরবারি, একটি বিশেষ রত্ন ও একটি প্রাচীন আমলের আরশি। জাপানের ‘থ্রি সেক্রেড ট্রেজারস’ বলা হয় এই তিনটি বস্তুকে। জাপান সাম্রাজ্যের সিংহাসনের প্রতীক বিবেচনা করা হয় এগুলোকে।