পম্পেওকে বাদ দিতে বললেন উন

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেওর সঙ্গে আর কোনো আলোচনায় যেতে ইচ্ছুক নয় উত্তর কোরিয়া। কথা চালিয়ে যেতে পম্পেওর বদলে বরং আরও পরিণত কাউকে তারা চায়। গতকাল বৃহস্পতিবার উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএর তথ্যের বরাতে রয়টার্সের খবরে এ কথা জানানো হয়।

পারমাণবিক চুক্তি ভেস্তে যাওয়ার পর প্রথমবারের মতো কৌশলগত অস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে উত্তর কোরিয়ার পক্ষ থেকে তাদের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।

রয়টার্সের খবরে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুক্তরাষ্ট্রবিষয়ক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কিওন জং–গুন ওয়াশিংটনের প্রতি এই বলে হুঁশিয়ার করেন, পিয়ংইয়ংকে পারমাণবিক অস্ত্রের উন্নয়নে বাধ্য করার ক্ষেত্রে ‘মূল কারণটি’ দূর না করলে ভবিষ্যতে কী ঘটবে, তা বলা যায় না।
ওয়াশিংটনের সঙ্গে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সমঝোতা স্থগিত হওয়ার পর এই প্রথম কোনো পারমাণবিক মহড়া চালাল উত্তর কোরিয়া। দুই কূল রক্ষা করে চলা যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্যাট্রিক শ্যানন পেন্টাগনে সাংবাদিকদের বলেন, উত্তর কোরিয়া যে মহড়া চালিয়েছে, এ কথা সত্যি। তবে তা ‘ক্ষেপণাস্ত্র’ ছিল না।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র জানান, পম্পেওর সম্পর্কে এ ধরনের তথ্যের বিষয়ে তাঁরা অবগত এবং উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় অংশ নিতে যুক্তরাষ্ট্র প্রস্তুত। বৈঠক ফলপ্রসূ না হওয়া সত্ত্বেও ২০১৭ সাল থেকে পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে উত্তর কোরিয়া। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বারংবার একে পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে সুসম্পর্কের ফলাফল বলে উল্লেখ করেছেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্পের অভিজ্ঞ কর্মকর্তাদের সরিয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ শিথিল করার ফন্দি আঁটছে উত্তর কোরিয়া। ট্রাম্প প্রশাসনের শুরু থেকে পূর্ব এশিয়ার শীর্ষ কূটনীতিক পদে দায়িত্বরত ড্যানিয়েল রাসেল বলেন, এ সপ্তাহে ‘কৌশলগত অস্ত্রের’ মহড়ার মধ্য দিয়ে ট্রাম্পকে বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছে উত্তর কোরিয়া। পারমাণবিক কর্মসূচি যতই থেমে থাকুক না কেন, পম্পেওর মতো কট্টরপন্থী উপদেষ্টাদের সরিয়ে ‘বন্ধু’ কিম জং-উনের সঙ্গে সমঝোতা না করলে তার ফল ভালো হবে না।