বাড়ি যাচ্ছে এত্তটুকুন শিশুটি

ছবি : এএফপি
ছবি : এএফপি

বিশ্বের সবচেয়ে ছোট্ট শিশু। জন্মের সময় খুব বেশি হলে তার ওজন ছিল একটি আপেলের সমান। অক্টোবরে জাপানে জন্ম হয় ফুটফুটে ছেলেটির। চিকিৎসকেরা আজ শুক্রবার বলছেন, শিশুটি এখন বাইরের জগতে স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারবে। এ সপ্তাহেই হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরছে সে।

ছোট্ট ছেলেটির নাম রিয়সকে সেকিয়া। তার মা তোসিকোর ছিল হাইপারটেনশন। অন্তঃসত্ত্বা থাকাকালে ২৪ সপ্তাহ ৫ দিনের দিন জরুরি অস্ত্রোপচার করে সেকিয়ার জন্ম হয়। জন্মের সময় সেকিয়ার ওজন ছিল মাত্র ২৫৮ গ্রাম। এর আগে আরেক ছোট্ট ছেলের জন্ম হয় জাপানে। তার ওজন ছিল ২৬৮ গ্রাম। টোকিও হাসপাতাল থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে ওই শিশুকে ছাড়া হয়।

সেকিয়ার জন্ম হয় ২০১৮ সালের ১ অক্টোবর। লম্বায় সে ছিল মাত্র ২২ সেন্টিমিটার। স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা তাকে নবজাতকদের জন্য বিশেষ পরিচর্যাকেন্দ্রে রাখেন। টিউবের মাধ্যমে খাবার খাওয়ানো হতো সেকিয়াকে। মাঝেমধ্যে তাকে তুলার মাধ্যমে মাতৃদুগ্ধ পান করানো হতো। ৭ মাস পর সেকিয়ার ওজন হয় ৩ কেজি। এ সপ্তাহেই তাকে নাগানো চিলড্রেনস হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।

সেকিয়ার মা তোসিকো বলেন, ‘যখন জন্ম হয় সে খুব ছোট ছিল। মনে হতো ধরলেই ভেঙে যাবে। আমি খুব উদ্বিগ্ন ছিলাম। এখন রিয়সকে দুধ পান করে। আমরা তাকে গোসল করাতে পারি। সে বড় হচ্ছে দেখে আমি খুব খুশি।’

২০১৫ সালে জার্মানিতে ছোট্ট একটি মেয়েশিশুর জন্ম হয়। তার ওজন ছিল ২৫২ গ্রাম। ছোট আকারের মেয়েশিশুরা ছেলেদের তুলনায় বেশি দিন বাঁচে।