কাবুলে তথ্য মন্ত্রণালয়ে হামলা, বন্দুকধারীসহ নিহত ৮

ভবন থেকে এক শিশুকে নিরাপদে বের করে আনেন দেশটির নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য। ছবি: রয়টার্স
ভবন থেকে এক শিশুকে নিরাপদে বের করে আনেন দেশটির নিরাপত্তারক্ষী বাহিনীর একজন সদস্য। ছবি: রয়টার্স

আফগানিস্তানের তথ্য মন্ত্রণালয়ে সন্ত্রাসী হামলায় বন্দুকধারী, পুলিশ সদস্যসহ আটজন নিহত হয়েছেন। প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী। আজ শনিবার কাবুলের কেন্দ্রস্থলে সুরক্ষিত এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।

এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। তালেবানের একজন মুখপাত্র এ হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছেন। আফগান সরকার ও তালেবানদের মধ্যে আলোচনা স্থগিত হওয়ার এক দিন পরেই এ হামলার ঘটনা ঘটল।

আফগান তথ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, স্থানীয় সময় আজ শনিবার বেলা পৌনে বারোটার দিকে তথ্য মন্ত্রণালয় ভবনের বাইরে হঠাৎই বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া যায়। এরপরই বন্দুকধারীদের গুলিবর্ষণ শুরু হয়। অন্তত তিনজন বন্দুকধারী হামলায় অংশ নেয়। তাদের একজন ওই মন্ত্রণালয়ের ভবনের ভেতরেও ঢুকে পড়ে। হামলাকারীদের মধ্যে একজন পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। বন্দুকধারীদের গুলিতে তিনজন পুলিশ সদস্য ও চারজন বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারান। আহত হন আটজন বেসামরিক ব্যক্তি। প্রায় ছয় ঘণ্টা বন্দুকযুদ্ধের পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছে দেশটির নিরাপত্তা বাহিনী।

কাবুলের অন্যতম ব্যস্ত এলাকায় এ হামলা চালানো হয়। তথ্য মন্ত্রণালয় ছাড়া আরও দুটি মন্ত্রণালয়, এমনকি প্রেসিডেন্টের বাসভবনও ওই এলাকায় অবস্থিত। যে জায়গায় হামলা চালানো হয়েছে, এর খুব কাছেই কাবুলের অন্যতম জনপ্রিয় সেরেনা হোটেল অবস্থিত। কাবুলে আসা অধিকাংশ বিদেশি পর্যটকই এই হোটেলে থাকেন।

বার্তা সংস্থা এএফপির খবরে বলা হয়েছে, স্থানীয় সময় সকালে ভবনের দিক থেকে কুণ্ডলী পাকানো ধোঁয়া দেখতে পাওয়া যায়। ১৮তলা ভবনটির নিচের দিক থেকে মানুষ জানালা দিয়ে বের হওয়ার চেষ্টা করছে, এমন দৃশ্যও দেখা গেছে স্থানীয় টেলিভিশনের ফুটেজে।

তালেবানের মুখপাত্র জবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, এ ঘটনার সঙ্গে তালেবান কোনোভাবেই জড়িত নয়।