মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উদ্যোগ

মিয়ানমারের রাখাইনে রোহিঙ্গা সংখ্যালঘুদের ওপর নিপীড়নসহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিষয়ে দেশটির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এবং রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্ত করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসনকে তাগাদা দিতে আবারও একটি প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে মার্কিন কংগ্রেস। সরকারি ও বিরোধীদলীয় দুজন আইনপ্রণেতার ওই খসড়া প্রস্তাবের একটি কপি এবিসি নিউজের হাতে এসেছে। সেখান থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

রোহিঙ্গা নিপীড়নের সংবাদ সংগ্রহের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত রয়টার্সের দুই সাংবাদিকসহ রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তিতে মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ প্রয়োগ করা এবং বন্দীদের মুক্ত করতে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে সহায়তা দিতে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরকে আরও আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে ওই খসড়া প্রস্তাবে।

গত সপ্তাহে ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান ও বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টির একদল আইনপ্রণেতা কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব তোলেন। সেখানে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য মিয়ানমারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য শাস্তি আরোপের কথা বলা হয়েছে।

মিয়ানমারের প্রেসিডেন্ট গত বুধবার দেশটির নববর্ষ উপলক্ষে মাত্র দুজন রাজনৈতিক বন্দীসহ ৯ হাজার ৫৫১ বন্দীকে সাধারণ ক্ষমার ঘোষণা দেন। এর কয়েক দিন পর মার্কিন আইনপ্রণেতারা নতুন এই প্রস্তাব পেশ করার কথা জানালেন।

মিয়ানমারে মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়ে অনেক দিন ধরেই হতাশ ছিলেন মার্কিন আইনপ্রণেতারা। ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটির সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের জাতিগতভাবে নিধনের জন্য ‘পদ্ধতিগত পন্থায়’ অভিযান চালায়। জাতিসংঘ এটাকে ‘গণহত্যার’ উদ্দেশ্যে চালানো অভিযান বলেছে। তবে এই নিধনযজ্ঞের বিষয়ে ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে এখন পর্যন্ত কোনো উচ্চবাচ্য করেননি।

প্রস্তাবটি যাঁরা আনতে যাচ্ছেন, তাঁদের একজন মিশিগানের আইনপ্রণেতা ডেমোক্র্যাট অ্যান্ডি লেভিন বলেন, ‘আমরা এমনটার নিশ্চয়তা চাই, মিয়ানমারে রোহিঙ্গাসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র সবকিছু করতে পারে।’